রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আসামি প্রত্যর্পণে অবান্তর বক্তব্য

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

আসামি প্রত্যর্পণে অবান্তর বক্তব্য

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় একটি সঠিক কথা বলে পলাতক আসামি প্রত্যর্পণের ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর ধারণা দূর করেছেন, যা সাধুবাদের দাবিদার। তিনি বলেছেন, আক্তারুজ্জামান শাহিন নামক ব্যক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকায় তাকে শুধু ভারতই ফিরে পেতে পারে, কারণ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সট্রাডিশন (আসামি প্রত্যর্পণ) চুক্তি রয়েছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। ইন্টারপোল শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ধরে এনে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে, এ ধরনের উদ্ভট কথা বলে তিনি জাতিকে বিভ্রান্ত করেননি, যে কথা প্রায়ই অনেক অতি শিক্ষিত ব্যক্তি বলে থাকেন। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়ের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য অত্যন্ত সময়োপযোগী এ কারণে যে, বেশকিছু জ্ঞানীজনও এ বিষয়ে অবান্তর তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। বেশকিছু লোক কিছু না জেনেই বলে চলছেন যে, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহিনকে ফেরত পেতে পারবে, ইন্টারপোল বিদেশে পালিয়ে থাকা লোকদের ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে ইত্যাদি। এরা সাধারণ মানুষ হলে সমস্যা হতো না। কিন্তু এদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন বলে মানুষ বিভ্রান্ত হতে বাধ্য, এটি ভেবে যে তাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ লোক যা বলছেন, সেটা নিশ্চয়ই সঠিক। আমি এ ধরনের ভুল বক্তব্য প্রচার করা লোকদের অজ্ঞতার সমালোচনা করছি না। আমার কথা হলো কিছু বলার আগে সে বিষয়টি ভালো করে না জেনে জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়া মানে সমাজের ক্ষতি করা।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক ভাষ্যকারের কথা শুনে আমি অবাক হয়েছি। তার কথায় যা দাঁড়ায় তা হলো- ইন্টারপোল যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহিনকে ধরে এনে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে। নেপালে পালিয়ে যাওয়া আরেক আসামি সিয়ামকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে অনেক ভুল কথা বলেছেন তিনি। তার এসব অবান্তর কথা শুনে শ্রোতা সাধারণ তাকে অজ্ঞ বলে চিহ্নিত করলে সমস্যা হতো না। কিন্তু চ্যানেলটি বেশ জনপ্রিয় বলে মানুষ বরং তার কথাকে বেদ বাক্য বলে ধরে নিয়ে নিজেরাই অজ্ঞতার সমুদ্রে নিমজ্জিত হতে পারেন। তিনি যে বিষয়ে কথা বলেছেন সেটি শুধু আইন বিষয়কই নয়, বরং অতি বিশেষায়িত আইনি বিষয়। একটি জনপ্রিয় চ্যানেলে এ ব্যাপারে কিছু বলার আগে তার উচিত ছিল এ ব্যাপারে পড়াশোনা করা। তা করলে তিনি নিশ্চিত হতে পারতেন যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চাইলেও শাহিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না। এক্সট্রাডিশন আইনে পারবে না কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সট্রাডিশন চুক্তি নেই। আর ইমিগ্রেশন আইন প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ডিপোর্ট করতে পারবে না কারণ ইমিগ্রেশন আইন সে দেশের নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনি মহিউদ্দিনকে তাদের ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগ করে যেভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল, শাহিনকে সেভাবে পাঠানো সম্ভব নয়, শাহিন যদি সত্যি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকে। ভদ্রলোক ইন্টারপোলের ওপর পড়াশোনা করলে জানতে পারতেন যে কোনো আসামিকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া তো দূরের কথা, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ক্ষমতাও কোনো দেশের আইন ইন্টারপোলকে প্রদান করে না। জানতে পারতেন যে ইন্টারপোল মোটেও জাতিসংঘের কোনো বাহিনী বা অংশ বা কর্মকার বা এজেন্সি নয় এবং জাতিসংঘ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠানও নয়, এটি বিশ্বের (বর্তমানে ১৯৬টি দেশের) পুলিশ বাহিনীগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সমিতি মাত্র। ১৯৯৬ সালে দরখাস্তের ভিত্তিতে ইন্টারপোলকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়, যে মর্যাদায় রয়েছে বহু আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পর্যবেক্ষক মর্যাদার সংস্থাগুলো সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারে এবং জাতিসংঘের কিছু দলিলপত্র নিরীক্ষা করতে পারে, এই যা। জাতিসংঘ তার পর্যবেক্ষকদের কোনো ধরনের ক্ষমতা প্রদান করেনি এবং করতে পারেও না। কেননা তা হবে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের শামিল; যা কোনো রাষ্ট্রই সহ্য করবে না। তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ ছাড়া জাতিসংঘের কোনো ক্ষমতাও নেই ইন্টারপোলসহ পর্যবেক্ষকদের কোনো ক্ষমতা প্রদান করার। জাতিসংঘ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ডেমোক্র্যাসি ওয়াচসহ বহু বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তিকে ‘কনসালট্যান্ট’ (উপদেষ্টা) মর্যাদা দিয়েছে দরখাস্তের ভিত্তিতে, যা পর্যবেক্ষকদের মর্যাদার চেয়েও ওপরে। জাতিসংঘ উপদেষ্টাদের থেকে মতামত চাইতে পারে, যদিও তা মানতে বাধ্য নয়। উপদেষ্টাদেরও জাতিসংঘ কোনো ক্ষমতা প্রদান করেনি এবং করতে পারে না। পর্যবেক্ষক এবং উপদেষ্টা কেউই জাতিসংঘের কোনো অংশ বা এজেন্সি বা কর্মকার নয় বা জাতিসংঘ থেকে কোনো ধরনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।

শুধু সেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলই নয়, গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা কিছু পরিমিত জ্ঞানসম্পন্ন লোকও বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এমন সব উদ্ভট কথা বলে থাকেন, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনোই সম্পর্ক নেই। যারা সর্বদাই বলে থাকেন ইন্টারপোল বিদেশে পলাতক আসামিদের ধরে আনতে পারে, তারা কি বলতে পারবেন ইন্টারপোল কেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের, যুদ্ধাপরাধীদের এবং বহু পালিয়ে যাওয়া ফেরারি আসামিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারল না? এসব উদাহরণ থেকে তো তাদের শেখা উচিত যে, ইন্টারপোলকে এ ধরনের কোনো ক্ষমতা কেউ প্রদান করেনি। আমি ইন্টারপোলের ভূমিকা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছি না।

পলাতকদের অন্য দেশ থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার ক্ষমতা না থাকলেও পরোক্ষভাবে এটি মূল্যবান কাজ করতে পারে বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করে, যা ইন্টারপোলের সবচেয়ে বড় কাজ। উদাহরণস্বরূপ শাহিন কোন দেশের কোন অঙ্গরাজ্যের কোন শহরে অবস্থান করছে, তার গতিবিধি কী? এগুলো নির্ণয় করা ভারত এবং বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষে সম্ভব না, আর তাই তারা ইন্টারপোল থেকে এসব তথ্য পেয়ে থাকেন, যেগুলো পলাতক আসামি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অপরিহার্য। এ ছাড়া ইন্টারপোল রেড নোটিসের (যাকে অনেকে ভুল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা মনে করে থাকেন, যদিও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কোনো ক্ষমতা কেউ ইন্টারপোলকে প্রদান করেনি) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় পুলিশকে পলাতক আসামিদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিলে সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশ ফেরারি আসামিদের ওপর নজরদারি করতে পারে। যেহেতু বিচার এবং তদন্তের জন্য শাহিনকে হাতে পাওয়া অতীব জরুরি এবং একমাত্র ভারতই পারে এক্সট্রাডিশন পদ্ধতির মাধ্যমে শাহিনকে ফিরে পেতে, তাই আনার হত্যার বিচার ভারতে হওয়াই প্রয়োজন, যদিও আইনত বাংলাদেশেও বিচার হতে পারে, কেননা অপরাধ দুই দেশেই হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতসহ পৃথিবীর প্রায় দেশের এক্সট্রাডিশন আইনেই এই মর্মে বিধান রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশ পলাতক আসামিকে এমন দেশের কাছে হস্তান্তর করবে না, যেখানে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। ভারতের আইনেও খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতের কাছে এই মর্মে অঙ্গীকার দাবি করতে পারে যে ভারতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলাবে না। এক্সট্রাডিশন প্রক্রিয়া জটিল বটে, কিন্তু চেষ্টা তো চালাতে হবে। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সট্রাডিশন আইনে যে প্রক্রিয়ার উল্লেখ রয়েছে, তা অনুসরণ করে এখনই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ভারত সরকারের দাবি জানাতে হবে কূটনৈতিক পন্থায়, ইন্টারপোলের মাধ্যমে নয়। তবে আগে শাহিনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইন্টারপোলের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন।

আনার হত্যার অপরাধকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ষড়যন্ত্র এবং খুনের অপরাধ। দুটি অপরাধ স্বতন্ত্র বিধায় একটির, অর্থাৎ ষড়যন্ত্রের বিচার বাংলাদেশে এবং হত্যার বিচার ভারতে হতে আইনে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মামলার সব আসামি, যারা অভিন্ন, বিচার চলাকালে দুই দেশের কারাগারে আটক থাকবে, এটাই ধরে নেওয়া যায়। দুই দেশে দুই অপরাধের বিচারে সেটি হবে এক বাস্তব সমস্যা। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা আসামিদের কয়েকজন বাংলাদেশে এবং কয়েকজন ভারতে আটক রয়েছে। ভারতে হত্যা মামলা শুরু হলে, বাংলাদেশে আটক বন্দিরাসহ সব আসামিকেই ভারতে উপস্থিত রাখার প্রয়োজন হবে। তবে সেখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কেননা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এক্সট্রাডিশন চুক্তি আছে বিধায় বাংলাদেশ ভারতের অনুরোধে এখানে বন্দিদের ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।

সর্বশেষ খবর বলছে- নেপাল সরকার সেখানে আটক সিয়াম নামক এক আসামিকে বাংলাদেশে পাঠাতে রাজি হয়নি, কারণ ভারতও নেপালের সঙ্গে এক্সট্রাডিশন চুক্তির ভিত্তিতে সিয়ামের এক্সট্রাডিশন চেয়েছে। খুনের মামলা ভারতে হলে সিয়ামসহ সব আসামিরই ভারতের কবজায় রাখার দরকার হবে। কিন্তু নেপাল তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিলে ভালো হতো এজন্য যে, বাংলাদেশ পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য সংগ্রহ করে অবশেষে ভারত-বাংলাদেশ এক্সট্রাডিশন চুক্তির ভিত্তিতে ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে পারত। সিয়ামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নেপালের জন্য অনেক সহজ হতো এই অর্থে যে, সেখানে এক্সট্রাডিশন প্রক্রিয়ার দরকার হতো না, নেপাল তাদের ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগ করেই অতি সহজে সিয়ামকে বাংলাদেশে ডিপোর্ট করতে পারত। উল্লেখ্য, সিয়াম যে অন্য দেশে খুনের মামলার আসামি এ কথা নেপালে প্রবেশের ভিসা পাওয়ার আগে নিশ্চয়ই গোপন রেখেছিল। অর্থাৎ সিয়াম প্রতারণা করে ভিসা নেওয়ার জন্য দায়ী বিধায় নেপাল তার ভিসা শুরু থেকেই অবৈধ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে কালবিলম্ব না করে বাংলাদেশে ডিপোর্ট করতে পারত। তাছাড়া অন্য দেশের নাগরিককে একটি দেশ সাধারণত সীমিত সময়ের জন্য ভিসা দিয়ে থাকে, যে সময় পার হওয়ার পর ব্যক্তি বিশেষ সে দেশ থেকে প্রস্থান না করলে দেশটি বিদেশি নাগরিককে ডিপোর্ট করে তার নিজ দেশে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে। সিয়াম নেপালে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য হতো না এ কারণে যে রিফিউজি কনভেনশন বলছে অন্য দেশে মারাত্মক অপরাধ করা ব্যক্তিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিলেতের প্রখ্যাত বিচারপতি লর্ড ডেনিং এক মামলার রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, ইমিগ্রেশন আইনে কোনো ব্যক্তি ডিপোর্টেশন যোগ্য হলে তাকে ডিপোর্ট করা যাবে, এমনকি ডিপোর্টেশনের মাধ্যমে যদি পেছনের দরজা দিয়ে এক্সট্রাডিশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করা হয়, তবুও।

যাই হোক, সর্বশেষ খবর থেকে মনে হচ্ছে, নেপাল সিয়ামকে ভারতের কাছেই হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কারণে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবে না তার থেকে তথ্য প্রাপ্তির। তাই এ দায়িত্ব ভারতের পুলিশের ওপরই বর্তাবে। তার থেকে তথ্য প্রাপ্তি অতি আবশ্যক।

গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা যখন বলে থাকেন যে ইন্টারপোল পলাতক আসামিকে ফেরত নিয়ে আসবে, কিন্তু পরে যখন দেখা যায় যে ইন্টারপোল সেটি করতে পারেনি, তখন সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর এ বলে দায় চাপিয়ে থাকে যে সরকারই ইন্টারপোলকে কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা জানেন না যে ইন্টারপোলের এ ধরনের কিছু করারই ক্ষমতা বা সামর্থ্য নেই।

শেষ কথা হলো এই যে, গোটা জাতি নারকীয় আনার হত্যার বিচার এবং দোষীদের শাস্তি দেখতে চায়। সে অর্থে বিচার কোন দেশে হলো সেটি বড় কথা নয়, বড় কথা হলো যথোপযুক্ত বিচার।

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং যুক্তরাজ্য ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজারি সার্ভিসের সাবেক আইন বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে ইমিগ্রেশন, রিফিউজি, এক্সট্রাডিশন প্রভৃতি আইনেও বিশেষজ্ঞ

সর্বশেষ খবর