রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাজেট প্রতিশ্রুতি

লক্ষ্য পূরণই আসল চ্যালেঞ্জ

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতি রোধের চ্যালেঞ্জ, ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে বিশাল আকারের ঋণ এবং ব্যয় সংকোচন নীতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। মন্ত্রীর আশাবাদ, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি কমবে। বাজেটের আকার কমানো হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে। ব্যাংক ঋণ নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণে বলেছেন, সব সরকারই ঋণ করে দেশ চালায়। উন্নত দেশগুলো আরও বেশি ঋণ নেয়। মন্ত্রীর যুক্তি ব্যাংক ঋণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে। ফলে এজন্য বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে না। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। যা মূল্যস্ফীতি বাড়ার একটি কারণ। এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তাদের দেশে সুদহার বাড়িয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ফ্লো কমতে থাকে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে ও বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে। এর ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেছেন, এবারও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষের সুরক্ষায় ওএমএস ও ফ্যামিলি কার্ড ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাজেটের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। তারা বাজেটকে কঠিন সময়ের দুর্বল বাজেট বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও সিপিডির অভিমত কোনোটিই উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের মতে, বাজেটের প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো প্রত্যাশা বিশাল হলেও রয়েছে সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা। এটি মেনে নিয়েই বাজেট ঘোষিত লক্ষ্য পূরণে সরকারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর