রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বজনদের পরাজয়

মন্ত্রী-এমপির ইমেজ নিয়েই প্রশ্ন

প্রায় এক দশক ধরে দেশের নির্বাচনগুলো বিতর্কিত হচ্ছে। বিভিন্ন নেতিবাচক অভিধায় চিহ্নিত হচ্ছে। দেশে-বিদেশে সব মহলে গ্রাহ্য হচ্ছে না। সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে। ভোটার উপস্থিতিও পর্যায়ক্রমে কমে ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এসব কারণে স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার কথা থাকলেও, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবার এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়। স্বজনদের পাশাপাশি অন্য কাউকে সমর্থন না দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনেক মন্ত্রী-এমপিই তা মানেননি। তারা স্বজন ছাড়াও পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন। স্থানীয় নির্বাচনেও স্বজনদের নির্বাচিত করিয়ে, পুরো স্থানীয় সরকার প্রশাসনকেই কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন। জনগণ তা মানতে পারেনি। আগেভাগে এই বার্তা উপলব্ধি করেই আওয়ামী লীগ স্বজনদের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবুও অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপির নিকটজন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তাদের পক্ষে কাজ করেন ওইসব মন্ত্রী-এমপি। এর মধ্যে ২২ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্বজনদের ভরাডুবিতে স্বভাবতই এসব মন্ত্রী-এমপির ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এর মধ্যে এমন কজন রাঘববোয়াল রয়েছেন, যাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন হলে সরকারের গায়েও তার আঁচ লাগে। তাদের এটা বোঝা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না বোঝায় স্বজনদের লোক হাসানো, লজ্জাজনক পরাজয় প্রত্যক্ষ করতে হলো। মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলো। উপজেলা নির্বাচন যদি স্বজনমুক্ত করা যেত, এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আরও সাফল্য দাবি করতে পারত নির্বাচন কমিশন। সরকারের ভাবমূর্তির পালেও তার সুবাতাস লাগত। যেটা সংশ্লিষ্টদের অবশ্যকর্তব্য এবং সর্বসাধারণের কাম্য ছিল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর