বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গৃহহীনকে গৃহদান

মৌলিক অধিকার পূরণের মহৎ উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে দেওয়া বাড়ি গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা জমিসহ ঘর পেয়েছেন, তাদের জীবন বদলে গেছে। মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। অন্ন বস্ত্র চিকিৎসা ও বাসস্থান ছিল আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের স্লোগান। বাংলাদেশকে বলা হয় সুজলা-সুফলা দেশ। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, ভিনদেশিদের শাসনামলে এ দেশের মানুষের জন্য দুর্ভিক্ষ নিয়তি হয়ে উঠেছিল। মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত, এটি যেমন সত্য, তেমন সত্য হলো সে সময়ও এদেশে দুর্ভিক্ষ হতো। ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত বাংলার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ এক কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল দুর্ভিক্ষে। যা ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলে পরিচিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ঘটেছিল দুর্ভিক্ষের নামে বর্বরতম ‘গণহত্যা’।

বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো এ দেশে সাংবার্ষিক বিপর্যয়ের কারণ বলে বিবেচিত। বিশেষ করে নদীভাঙন প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁই কেড়ে নেয়। আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অধিকার পূরণের যে অঙ্গীকার করেছিলেন শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তার বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার সারা দেশের ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে নিজেদের বাড়ি ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। স্মর্তব্য, বর্তমান সরকার আমলে খাদ্যোৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গা নামের সাংবার্ষিক দুর্ভিক্ষের ইতি ঘটেছে। দেশে এখন বস্ত্রহীন বলে কেউ নেই। চিকিৎসা সুবিধাও ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, মৌলিক অধিকার পূরণের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর