শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জনরায়ের অন্ধকার দিক

এম জে আকবর

জনরায়ের অন্ধকার দিক

নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে কল্পনায় মুদ্রণমাধ্যম এবং পর্দার (টিভি) লোকদের চিৎকার, ব্যস্ততা আর নাটুকেপনা আড়াল করে ফেলেছে ভারতে ২০২৪ সালে সাধারণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকটি আসনের সবচেয়ে বিপজ্জনক ফল। নতুন সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এমন তিনজন, যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী আকাক্সক্ষার সর্বশেষ উত্তরাধিকারী। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাব এবং একজন কাশ্মীর থেকে।

অমৃতপাল সিং সন্ধু হলেন চার যুগ আগে জুন মাসে অপারেশন ব্লু স্টারে নিহত সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের নেতা জর্নেল সিং ভিন্দ্রনওয়ালের স্বঘোষিত নতুন সংস্করণ। সরবজিত সিং খালাসার বাবা বিয়ন্ত সিং (১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হন্তারক। শেখ আবদুল রশিদ, ৫৬ বছর বয়সি প্রকৌশলী যিনি একদা জম্মু ও কাশ্মীরের গণপূর্ত বিভাগে কাজ করতেন। ভারতীয় নির্বাচনব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় বিরল, নির্বাচনের জন্য উদ্ভূত একটি স্বতঃস্ফূর্ত নেটওয়ার্কের বিপুল সমর্থনের মাধ্যমেই এটা সম্ভব। কোনো বিপজ্জনক সুপ্ত আত্মা এ তিনটি বিজয় জাগিয়ে তুলেছে?

আমৃতপাল সিং সন্ধুর জন্ম ১৯৯৩ সালে। তিনি সন্ত জর্নেল সিং ভিন্দ্রনওয়ালের নামে ধর্ম বিশ্বাস আর উগ্রপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদের মিশেলে অদ্ভুত এক তত্ত্ব প্রচার করেন। ভিন্দ্রনওয়ালের শিখ রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় সশস্ত্র বিদ্রোহ পাঞ্জাবে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছিল। তার ঘাঁটি থেকে তাকে সদলে উৎপাটনের জন্য পবিত্র স্বর্ণমন্দিরে ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ নামের সামরিক অভিযান চালায় সরকার। ১৯৮৪-এর ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত চলা সেই অপারেশনের নেতিবাচক প্রভাব ইন্দিরা গান্ধী হত্যা ট্র্যাজেডির দিকে ধাবিত হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী সেই দশকে পাঞ্জাবের মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ আমার চেতনায় এবং স্মৃতিতে গেঁথে আছে। সন্ত ভিন্দ্রনওয়ালের সর্বশেষ সাক্ষাৎকার নেওয়া সাংবাদিকদের অন্যতম আমি। সেই বসন্ত দিনে আমরা যে ভবনের ছাদে তার সঙ্গে কথা বলি সেই ছাদটি একে-৪৭ রাইফেলে ভরপুর ছিল।

সন্ধুর গ্রামের বাড়ি অমৃতসরের বাকালা তহসিলে। ২০১২ সালে কিশোর বয়সে একটি পরিবহন সংস্থায় চাকরি নিয়ে তিনি দুবাই চলে যান। এক দশক পর সন্ধু দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য গড়া সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র নেতৃত্ব দিতে পাঞ্জাবে ফিরে আসেন। ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র সশস্ত্র শাখা আনন্দপুর খালসা ফৌজ। তার শুদ্ধকরণ বা নবজন্মের প্রচার অভিযানটি ভিন্দ্রনওয়ালের সক্রিয় জঙ্গিবাদের মডেল ছিল যার সঙ্গে তিনি যুবকদের মাদকমুক্তির পক্ষে প্রচারাভিযানকে যুক্ত করেন। স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ জন্য সন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে থাকে। তার প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন জঙ্গিবাদকে ক্রমবর্ধমান করে তুলেছিল। তাদের বিচারে যারা প্রতিপক্ষ সেই শক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর আঘাত হানার জন্য তারা বেছে নেয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরকে। দুই মাস পর, ফেব্রুয়ারিতে, তার সমর্থকরা পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আজনালা পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়।

পাঞ্জাব পুলিশ ১৮ মার্চ, ২০২৩ ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র বিরুদ্ধে টানা অভিযানে নামে। ওই বছর ২৩ এপ্রিল মোগায় সন্ধুকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে আসামের একটি কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। বহুদূরের এই কারাগারে বসে সন্ধু প্রার্থী হলেন লোকসভার খাদুর সাহিব আসনে। জিতলেন ১,৯৭,১৩০ ভোটের ব্যবধানে। বিজয়ের জন্য সন্ধুর বাবা সর্বশক্তিমান এবং ‘সঙ্গত’ (শিখতন্ত্র)-কে ধন্যবাদ জানান।

খাদুর সাহিব থেকে প্রায় এক শ কিলোমিটার উত্তরে ফরিদকোট। লোকসভার ফরিদকোটে সরবজিত সিং খালসা হারিয়েছেন আম আদমি পার্টি প্রার্থী করমজিৎ আনমোলকে। ভোটের ব্যবধান ৭০,০৫৩। সরবজিত সিং খালসার বাবা বিয়ন্ত সিং ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী। অপারেশন ব্লু স্টারের ঘটনায় নিদারুণ মনঃকষ্টে ভুগছিলেন বিয়ন্ত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইন্দিরাকে সম্ভাব্য বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তাতে বিয়ন্ত সিংয়ের ওপর ইন্দিরার আস্থা কখনোই টলেনি। ১৯৮৪-এর ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় দিল্লির ১০ নম্বর সফদরজং রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আঙিনায় বিয়ন্ত ও তার সহকর্মী সতবন্ত সিং গুলি করে হত্যা করেন ইন্দিরা গান্ধীকে।

প্রকৌশলী রশিদ ২০১৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীর আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। সাদাসিধে জীবনযাপনের জন্য সুনাম ছিল তাঁর। তাঁর জীবনধারণ রীতি বেশির ভাগ রাজনীতিকের জীবনযাত্রার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাকে প্রায়ই লোকাল বাসে যাতায়াত করতে দেখা যেত। ২০১৯ সালে তাকে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করে দিল্লির বিখ্যাত তিহার জেলে বন্দি করা হয়। এই জেল থেকে তিনি কাশ্মীরের সবচেয়ে খানদানি পরিবারের সন্তান ওমর আবদুল্লাহকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রশিদ পেয়েছেন ৪,৭২,৪৮১ ভোট। ওমর পান ২,৬৮,৩৩৯ ভোট। সংখ্যার বিচারে তার বিজয় ছিল অপ্রতিরোধ্য। নির্বাচনের বিস্ময়কর ঘটনাবলি বর্ণনা করতে গেলে অবশ্যই প্রকৌশলীর ২২ বছর বয়সি ছেলে আবরার রশিদ যা বলেছেন সেটা আসবেই। আবরার বলেছিলেন, বাবার জন্য প্রচারে মোট খরচ হয়েছে ২৭,০০০ রুপি এবং সেটা তার গাড়ির জন্য জ্বালানি কেনায়। আবরার এবং তার ভাই আসরার রশিদ ভোটারদের কাছে একটি সরল বার্তা দিয়েছিলেন : জেল কা বদলা ভোট সে (ভোট দেবে জেলের জবাব)।

এই তিনজন বিজয়ী এখন একটি বিষয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন। ভারতীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রমূল স্বাধীনতা এবং স্বাধীন ইচ্ছা। এটা সবাইকে, এমনকি বিচ্ছিন্নতাবাদীকেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য জায়গা করে দেয়। কিন্তু তারা জিতলে একটি সীমারেখা টানা হয়। সংসদে বসতে হলে আগে তিনজনকেই অখণ্ড ও সার্বভৌম ভারতের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে হবে।

আমরা কি ১৯৮২-এর অবস্থা দেখছি? প্রশ্নটি অবশ্যই জাতীয় উদ্বেগের রাডারে থাকা উচিত। ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমসের আগে গাড়িতে করে বা বাস চেপে দিল্লিতে আসা শিখদের পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সরকারের কেউ ব্যাপারটির বিরূপতা নিয়ে মাথা ঘামাননি।

পাঞ্জাবের গোলযোগগুলো দিল্লিতে কংগ্রেস সরকারের চোখে সব শিখকে সন্দেহভাজন করে তোলে। যদি প্রতিটি যাত্রীকে তল্লাশি করা হতো, যেমনটি এখন বিমানবন্দরে হয়, তবে কোনো সমস্যা হতো না। ব্যাপারটি বৈষম্য বলে মনে হতো না। কিন্তু তল্লাশিটা চালানো হয়েছিল শিখদের চিনে চিনে। এতে তাদের আত্মসম্মানে লেগেছিল। এটা তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি করেছিল ক্রোধ এবং তাদের গোষ্ঠী বিশেষের মধ্যে সঞ্চারিত করেছিল উগ্রতা।

সন্দেহভাজনে পরিণত হওয়া থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন এমন শিখরাও বাদ পড়েননি। দেশপ্রেমের চমৎকারিত্ব থাকা ব্যক্তিও ছাড় পাননি। দুঃখজনক এক ঘটনা মনে পড়ছে। বীরত্বের জন্য একাধিক পদকে ভূষিত গড়ওয়াল রাইফেলসের মেজর জেনারেল সাবেগ সিং, ১৯৪৭, ১৯৬২, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে ভারতের হয়ে যুদ্ধ করে বীরনায়ক হয়েছিলেন। তাকে ১৯৮২ সালে তার দিল্লির বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কারণ মনে করা হয়েছিল তিনি একটা নিরাপত্তা ঝুঁকি। আশ্চর্য! সাবেগ সিং অমৃতসর চলে গেলেন। সেখানে তিনি ভিন্দ্রনওয়ালের সামরিক কমান্ডার হলেন। অপারেশন ব্লু স্টার প্রতিরোধের লড়াইয়ে দক্ষতার পরিচয় দেন। ইতিহাস ভুলের মূল্য আদায়ে তাড়াহুড়ো করে না। তবে মূল্যটা ভুলেও যায় না।

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রিত্ব শুরু করা নরেন্দ্র মোদি ও তার মূল নিরাপত্তা দলের জন্য তিনজনের নির্বাচনি অর্জন খুব উচ্চ বিচক্ষণতা অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় হওয়া উচিত। এই বিপদ মোকাবিলায় চাই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দৃঢ়তার মিশ্রণে তৈরি পদক্ষেপ। ১৯৮২ সালের মতো মোটা চামড়া আর পাতলা মগজ খাটালে দায়িত্বের বিভ্রম, দায়িত্ব এড়ানো বা কঠোর পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ঘটনা ঘটবে যা বয়ে আনবে ক্ষতিকর উল্টো ফল। দ্রুত পরিবর্তনশীল দৃষ্টিভঙ্গি পরিমাপ করার জন্য চাই নতুন মন আর ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি। ‘কাজকাম যেমন চলছে তেমনই চলুক না’ মনোভঙ্গি তো সাধারণ আত্মতৃপ্তির রেসিপি।

প্রতিটি নির্বাচনি ফলের একটি মানে থাকে। গত দশকে কোটি কোটি ভারতীয়র অর্থনৈতিক কল্যাণ হয়েছে। এ কারণেই বিজেপি ২৪০টি আসন পেয়েছে।

পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যাক। শহরাঞ্চলে বিজেপির ভোট ২০১৯ সালের ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে এ বছর ৪০ শতাংশ হয়েছে, যা যে কোনো মানদণ্ডে অসাধারণ। কিন্তু গ্রামীণ ভারতে এটি ৩৯.৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে গেছে। অথচ রেশন দেওয়ায় গ্রামীণ মহিলারা প্রধানমন্ত্রী মোদির জয়ধ্বনি করেছিলেন। তবে চাকরির সুযোগ স্থবির হয়ে পড়ায় যুবকরা দূরে সরে গেছে।

গ্রামাঞ্চলে বিজেপির ভোট কমেছে, তাই আসনও কমেছে ৬৩টি। ঝাড়খণ্ডের উপজাতীয় অঞ্চলে মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার পরাজয় অবনমনের আরেক আলামত। মেরামত করার অনেক কিছু আছে। সবচেয়ে বড় বিপদ ভারতের উত্তর-পশ্চিমে। এর কোনো দ্রুত সমাধান নেই। কোনো জাদুকরী মন্ত্র নেই। সহানুভূতি ও স্বচ্ছতা দিয়ে, ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি করে এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অবিলম্বে শক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। উসকানিদাতাদের হাতে উসকানিতে ভোগা সুনীতি নয়। আবার যারা সত্যিকারের রাষ্ট্রশত্রু তাদের শোধনও প্রয়োজন।

আমরা পাঞ্জাবকে এলোমেলো করে দেওয়া ১৯৮০-এর দশকের রাজনৈতিক ভূমিকম্প তো দেখলাম। আমরা দেখেছি যে, বিরাট এক ভুলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কারণ তখন কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য ভোটে কারচুপি করেছিল। জনগণ ওই দুই দলকে ক্ষমা করেনি। তবে এর চাইতেও গুরুতর ব্যাপার ছিল পাকিস্তানে বসা ব্যক্তিদের হাতে কাশ্মীরে তাৎক্ষণিক সহিংসতা বৃদ্ধি, এতে করে উপত্যকায় সম্প্রীতি ধ্বংস হয়। ফলত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিক্রিয়া এখনো প্রতিধ্বনিত হয়ে চলছে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের অসামান্য দিক হচ্ছে ভারতীয় গণতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার বিজয়। জনগণের ইচ্ছাকে কেউ বাধা দেয়নি। এমনকি পারলেও কেউ বাধা দিতে চায়নি। সাধারণ জীবনধারী মানুষ পাঁচ বছরের জন্য রাজা হতে পারে, তবে ম্যান্ডেটের দিনে সত্যিকারের রাজা হয়ে ওঠেন ভোটাররা। সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে অযৌক্তিক অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি ছিল অনেক বিদেশি সাংবাদিকের সংস্কার উদ্ভূত প্রচারণা : ‘ভারত আর গণতান্ত্রিক দেশ নয়।’ সবচেয়ে প্রাণবন্ত আর বৃহত্তম নির্বাচন দেখার পরও যারা এমন বলে, হয় তারা অন্ধ, না হয় বোকা।

গণতন্ত্র চায় দেওয়া-নেওয়া। রাজনীতি সম্পর্কিত প্রতিটি বইয়ে কীভাবে শাসন করতে হয় সে সম্পর্কে কিছু না কিছু পরামর্শ থাকে। আমি যে সেরা প্রতিপাদ্যটি পড়েছি তা বই নয়, একটি অনুচ্ছেদ। এটা সপ্তম শতাব্দীর উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া ইবনে সুফিয়ানের কাছে এসেছে বলে মনে করা হয়।

প্রতিপাদ্যটি হলো- ‘যেখানে আমার জিহ্বা যথেষ্ট, সেখানে আমি চাবুক ব্যবহার করি না, যেখানে আমার চাবুক হলেই চলে, সেখানে তলোয়ার ব্যবহার করি না। প্রিয়জনদের সঙ্গে একটি চুলও যদি আমার সংবদ্ধ করে রাখে তাকে ভেঙে যেতে দিই না। যদি তারা টানে আমি আলগা করি, তারা আলগা করলে আমি টানি।’

গণতন্ত্র হলো আস্থা, বিশ্বাস, মিথস্ক্রিয়া এবং ক্ষমতা আর জনগণের শেখার দৈনন্দিন সম্পর্ক। গণতন্ত্র নাচ নয়, তবে এটি অংশীদারিত্বের একটি ছন্দবদ্ধ চলনরীতি যেখানে জনগণ পথ দেখায় আর শান্তি, পর্যাপ্ত খাদ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সরকার মানুষকে তাদের কাক্সিক্ষত দিগন্তে নিয়ে যাওয়ার পথের মানচিত্র তৈরি করে।

লেখক : ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর