শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সন্ত্রাস

বাংলাদেশের জন্য সাক্ষাৎ উপদ্রব

বাংলাদেশের জন্য সাক্ষাৎ উপদ্রব হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প আর সন্ত্রাস সমার্থক বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৯টি সন্ত্রাসী সংগঠনের অপতৎপরতায়। এর মধ্যে পাঁচটি অতি উগ্রবাদী বলে পরিচিত। বাংলাদেশ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় মানবিক কারণে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধের ঢেঁকি বাংলাদেশ গিলতে বাধ্য হয় দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্কের প্রশ্নে। কিন্তু ১২ লাখ রোহিঙ্গার কারণে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের পাহাড়-টিলা সবুজ প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্যে ইতোমধ্যে সর্বনাশ ঘটেছে। মাদক ব্যবসা ও অস্ত্র ব্যবসার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলা। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই খুন-খারাবি ঘটছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার দুই গ্রুপ ও পুলিশের গুলিবিনিময়ে আবদুল মোনাফ নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল মোনাফ ওই ক্যাম্পের আজিম উল্লাহর ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, আরসা কমান্ডার আবদুল মোনাফ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আরেক ঘটনায় কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সৈয়দ আমিন আরএসও সদস্য এবং উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পের এ/৪ বক্লের আহমেদের ছেলে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পে বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ কিছু লোক আমিনকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পসংলগ্ন জি কে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দেশের আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলায় তাদের স্বদেশ পাঠানো যাচ্ছে না। অনিশ্চয়তা দীর্ঘদিন মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে জাতিসংঘ এবং বিশ্বসমাজকে সক্রিয় হতে হবে।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর