রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

এমপি খুন, নিষ্ঠুর সমাজ, মানিক সুনীলের ভালোবাসা

নঈম নিজাম

এমপি খুন, নিষ্ঠুর সমাজ, মানিক সুনীলের ভালোবাসা

লেখক, শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, ‘আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো/ খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে/খুব ছোট একটা দুঃখের জন্যে/আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে/একটি ছোট দীর্ঘশ্বাসের জন্যে/এক ফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।’ রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ-সংস্কৃতিতে এখন স্বপ্নবাজের সংখ্যা কমছে। স্বপ্নবাজেরা হারিয়ে যাচ্ছেন। হেরে যাচ্ছেন অসহনীয় নোংরামির কাছে। হিংসার দুনিয়াতে অসুস্থ নিন্দুকেরা টিকে থাকছেন। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাড়ছে অস্বাভাবিকতা। প্রযুক্তির ওপর ভর করে পৃথিবী এগিয়ে চলেছে। টিকটকের বিশ্বে শেষ হচ্ছে মানবতা। চারপাশ দেখে বিস্মিত হচ্ছি। হতাশায় ছেয়ে যাচ্ছে মন। মানুষের ভিতরের নিষ্ঠুরতা বাড়ছে। এমপি আনার হত্যায় প্রকাশ পেয়েছে মানুষ নামের প্রাণীদের ভয়াবহতা। পরস্পরের মতের বিরোধ থাকতে পারে। ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে দূরত্ব তৈরি হবে। রাজনীতি নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে। তাই বলে মানুষকে এতটা বর্বর নৃশংসভাবে হত্যা করতে হবে? মনুষ্যত্ব শব্দটি চিরতরে লোপ পাচ্ছে? বিশ্বের অনেক রোমহর্ষক কাহিনি পড়েছি। হরর ছবি দেখেছি। এমপি আনারের লাশ গুম করতে যা করা হলো তা নজিরবিহীন। মানবসভ্যতায় নিষ্ঠুরতারও সীমা থাকে। বর্বরতার একটা শেষ থাকে। আনার হত্যার ঘটনা ঘিরে এ অস্বাভাবিকতা মানতে পারছি না।

মুনির-খুকুর কাহিনি কারও কি মনে আছে? ডাক্তার পরিবারের সন্তান মুনির নিষ্ঠুরভাবে খুন করেন স্ত্রী রীমাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড গোটা বাংলাদেশকে তখন কান্নায় ভাসিয়েছিল। বর্বরতার কাছে হার মেনেছিল ন্যূনতম মানবিকতা। শুধু মুনির-খুকু নয়, আজিমপুর চায়না বিল্ডিং হত্যাকান্ড, রাজশাহীর নীহার বানু হত্যার খবরগুলো তখন মানুষ পড়ত আর চোখের পানি মুছত। এখন আগের মতো কোনো কিছু আমাদের স্পর্শ করে না। ভয়াবহ খুনের ঘটনাগুলো সমাজকে নাড়া দেয় না। অশ্রু ঝরায় না কারও। খুব সহজে সবাই ভুলে যায় সাগর-রুনি হত্যার কথা। মেহেরুন রুনিকে এটিএন বাংলায় নিয়ে এসেছিলাম। চ্যানেল আইতে কাজ করত। এটিএন বাংলা ছেড়ে রুনি জার্মানি গেলেন। সাগর ইত্তেফাক ছেড়ে ডয়েচে ভেলে। জার্মানিতে ভালোই ছিল এ সাংবাদিক দম্পতি। ছোট্ট মেঘকে নিয়ে জার্মানি থেকে ঢাকায় ফিরে এলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অফিস তখন মগবাজারে। একদিন দুজনই অফিসে এসে হাজির। জানতে চাইলাম কবে ফিরে যাবে? জবাবে তারা বলল, আর যাবে না। সাগরকে বললাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনে যোগ দাও। সাগর বলল, ভাই অনেক দিন প্রিন্ট মিডিয়ায় ছিলাম। এবার ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করতে চাই। নিতে চাই নতুন অভিজ্ঞতা। রুনির দিকে তাকালাম। বলল, ভাই আপনাকে মানি। কী করব বলেন? বললাম, সোজা মাহফুজ ভাইয়ের কাছে চলে যাও। পুরনো প্রতিষ্ঠান এটিএন বাংলায় আবার যোগ দাও। ঢাকায় পুনরায় জীবন শুরু হলো তাদের। সাগর যোগ দিল মাছরাঙা টিভিতে। রুনি এটিএন বাংলায়। সব ঠিক ছিল। ছোট্ট মেঘকে ঘিরে তাদের সুখের সংসার। হঠাৎ একটা রহস্যময় ঝড় সব শেষ করে দিল। মধ্যরাতে নিষ্ঠুরভাবে খুন হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। পুলিশ, র‌্যাব তদন্তে নামল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করবেন। সবকিছু ঘোষণাতে শেষ। সেই ৪৮ ঘণ্টা আর পার হলো না।

আজও সাগর-রুনি খুনের রহস্য বের হয়নি। কারা তাদের খুন করল, কেন করল? সবকিছু রহস্যই থেকে গেল। একটি হিন্দি ছবি দেখেছিলাম জাস্টিস ফর জেসিকা। একটি অনুষ্ঠানে জেসিকা নামের মেয়েটি খুন হন। বিত্তশালী পরিবারের আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠান আয়োজক ছিলেন জেসিকা ও তার এক বন্ধু। অনুষ্ঠান শেষ। এই সময়ে বার টেন্ডারের কাছে এসে মদ চান প্রভাবশালী মন্ত্রীর ভাতিজা। অনুষ্ঠানের নিয়ম মেনে মন্ত্রীর ভাতিজার কাছে মদ বিক্রি না করায় জেসিকাকে গুলি করা হয়। অনুষ্ঠানে আসা সমাজপতিদের সামনে মেয়েটি খুন হন। পুলিশের তদন্তকালে প্রভাব খাটালেন মন্ত্রী মহোদয়। প্রভাবশালীরা কেউ পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করলেন না। সবাই বললেন, খুন হতে কেউ কিছু দেখেননি। এমনকি জেসিকার বন্ধুও বললেন, তিনি কিছু জানেন না। এ ছবিতে জেসিকার বোন ছিলেন বিদ্যা বালান। তিনি কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না সবকিছু। বোনের খুনের বিচার চেয়ে আইন-আদালত, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন। কেউ সহায়তা করলেন না। ক্লান্ত হয়ে ওঠেন বিদ্যা বালান। জেসিকার বাবা-মা হয়ে যান অসুস্থ। অর্থ ও ক্ষমতার কাছে বিচারের বাণী নীরবে কাঁদতে থাকে। আদালতের রায়ে খুনিরা খালাস পায় সাক্ষীর অভাবে। ঠিক সেই সময়ে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেন একজন নারী সাংবাদিক। সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেন রানী মুখার্জি। আদালতের রায় ও খুন নিয়ে টেলিভিশনে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ শুরু করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে জনমত গড়ে তোলা। জনমত দেখে মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। এ ধরনের একটি ইংরেজি ছবিও দেখেছিলাম। কাহিনি ছিল কেউ খুন করেনি গল্পের নায়িকাকে।

আমাদের সমাজে সাক্ষী ও সুষ্ঠু তদন্তের অভাবে অনেক মামলা ধামচাপা পড়ে। পুলিশ মামলা প্রমাণ করতে পারে না। বিচারের দাবি নিয়ে অনেক নিরীহ পরিবার বাড়ি বাড়ি ঘোরে। কেউ পাশে দাঁড়ায় না। সাগর-রুনির নিষ্ঠুর হত্যা রহস্য বের করতে না পারা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কোনোভাবেই এ বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। মেঘ বড় হয়ে একদিন জানবে তার বাবা-মাকে কেউ হত্যা করেনি। সে রাতে কোনো খুনি তাদের বাসায় আসেনি। পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা একবার আমাকে বলেছিলেন, ঘটনা একজন ছিঁচকে চোরের। বললাম, যদি তাই হয় প্রমাণ দিয়ে প্রকাশ করা জরুরি ছিল। জবাবে সেই কর্মকর্তা বললেন, বিষয়টি অনেকদূর নিয়ে গেছেন আপনারা। যা-ই প্রকাশ হতো কেউ বিশ্বাস করত না। কথা বাড়ালাম না। বাংলাদেশে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত রিপোর্ট অনেক পরেও বের হয়েছে। সাগর-রুনির ঘটনা রহস্যময় রাখা ঠিক হয়নি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন খুনিদের শনাক্ত করা কঠিন কিছু নয়। এমপি আনার হত্যার সব আলামত মুছে ফেলেও কাজ হয়নি। খুনি শনাক্ত হয়েছেন। মুখোমুখি হয়েছেন বিচারের।

আনারের হত্যাকান্ড নিয়ে মনোবিদদের কাছে হয়তো অনেক ব্যাখ্যা আছে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কোনো হিসাব মেলাতে পারছি না। দুনিয়ার অনেক বড় খুনিদের নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। সিরিয়াল নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত পরিচালকরা। মনোবিদরা গবেষণা করে বই লিখেছেন। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়েছে মানুষ কেন এত নিষ্ঠুর হয়ে জন্মায়। আনারের খুনিদের তাদের পরিবার, পরিজন মানুষই মনে করত। মানুষের মতো চেহারা হলেই সবাই মানুষ হয় না। মানুষের বেশ ধরে অনেক বর্বর, নিষ্ঠুর, কুৎসিত প্রাণীর বাস সমাজে। ভয়ংকর ব্যক্তিরা ভালো কিছু দেখে না। ভালো কিছু করতেও পারে না। আনার খুনের তদন্তকারী ডিবি পুলিশের এডিসি মুরাদের কাছে সব ঘটনার বর্ণনা শুনলাম। আনারকে খুন করে তার শরীর থেকে মাংস আলাদা করে বাথরুমে ফ্লাশ করা হয়। বন্ধুর প্রতি বিশ্বাস রেখেই আনার গিয়েছিলেন কলকাতায়। একবারও ভাবতে পারেননি খুনিদের পরিকল্পনার কথা। বুঝতে পারেননি তাঁকে চিরতরে শেষ করা হবে। মৃত্যুর আগে আনার জেনে গেলেন মানুষের প্রতি আস্থা রাখার কিছু নেই। মীরজাফরের দেশে চারপাশের মানুষগুলো মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। ধারণ করতে পারে খুনির চেহারা।

আনার হত্যায় আটক হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু। তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও একাধিক নেতাকে। মিন্টুকে ছাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক তদবিরও হচ্ছে। কিন্তু আইন তার নিজ গতিতে চলছে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে নিচ্ছে তদন্ত। ডিবিপ্রধান হারুন প্রতিটি আপডেট তুলে ধরছেন মিডিয়ার সামনে। খুনি শিমুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুর বৈঠক দেখে বিস্মিত হলাম। মিন্টু অনেক দিন থেকে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী। এমপি হওয়ার স্বপ্নে এমন ভয়াবহ কান্ড ঘটাবেন ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। মিন্টুর জবানবন্দিতে আরও কোনো রাঘববোয়ালের নাম বেরিয়ে এলে রাজনীতির প্রতি আস্থা হারাবে সবাই। বাবা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে যাওয়া এমপি আনারের মেয়েটি হয়তো শোকে হবেন স্তব্ধ।

আমরা আনারের মতো ভয়াবহ ঘটনা আর দেখতে চাই না। সমাজ ও সংস্কৃতির স্বাভাবিকতা দেখতে চাই। অসুস্থ প্রতিযোগিতার আরাধনা থেকে রাজনীতি কলঙ্কমুক্ত না হলে শেষ হয়ে যাবে সবকিছু। বিখ্যাত গানের শিল্পী মান্না দে গেয়েছেন, ‘এই তো সেদিন তুমি/আমারে বোঝালে/আমারও অবুঝ বেদনা/দুটি হাত ধরে আমি তোমায় বলেছি/এ শুধু আমার তুমি কেঁদোনা, কেঁদোনা’। সেই সুর, সেই গান আর নেই। রাজনীতির মতোই সমাজ-সংস্কৃতির সুর-তাল-লয় ক্ষয়ে গেছে। সুরের মূর্ছনা একটা সময় হৃদয় খুঁড়ে আনন্দ-বেদনা বের করে আনত। জেগে উঠত মানবতা। এখন কোনোটাই নেই। সামাজিকমাধ্যম নৃশংসতা-বর্বরতা বাড়িয়েছে। নোংরামি, অসুস্থতা একটা বিনোদন হয়ে উঠেছে। এখন খুনিদের পক্ষেও যুক্তিতর্ক নিয়ে কথা শুনি। জীবনের জয়গান কেউ শোনায় না। লড়াই করে না সুস্থধারার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে। আগে জেলা-উপজেলায় প্রশাসন কৃষিমেলার আয়োজন করত। থাকত যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, সার্কাস। সন্ধ্যার আলো ছড়িয়ে পড়ত মফস্বল শহরে। এখন কোনোটাই নেই। ধর্মের নামে অধর্ম হয়। গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলায় বাধা আসে। গ্রামের তরুণরা খেলাধুলায় মেতে ওঠে না। বিকালের আড্ডায় তারা নিয়ে আসে সামাজিকমাধ্যমের জুয়া। দলবেঁধে সবাই সামাজিকমাধ্যমে জুয়া খেলে। ক্যাশলেস জুয়ার লেনদেনে দেশের অর্থ চলে যায় বিদেশে। বাবা-মা নীরবে চোখের জল ফেলেন। এ অবস্থা কেউ দেখতে চায় না।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথায় উঠে এসেছিল সে যুগের গ্রামীণ চিত্র। উপন্যাসের নায়ক ছিলেন চিকিৎসক। নাম শশী। একটা আবেগ, নীরব প্রেমের আহ্বানে ডাক্তার শশী অজপাড়াগাঁয়ে জড়িয়ে পড়লেন মানবতার সেবায়। স্বপ্ন ছোঁয়ার জগতে হলেন আচ্ছন্ন। ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নেই। গ্রামে চলতে গিয়ে হঠাৎ বদলে গেলেন তিনি। কারণ ছিল চোখের সামনে গ্রামের অধিবাসী হারু ঘোষকে বজ্রপাতে মরতে দেখেছিলেন। হারু ঘোষের পুত্রদের একজন পরাণ। তাদের বাড়িতে শশী ডাক্তারের যাতায়াত বাড়ে। ডাক্তার শশীর জন্য কঠিন ভালোবাসা তৈরি হলো পরাণের স্ত্রী ২৩ বছরের বাঁজা মেয়ে কুসুমের। কুসুমের সন্দেহ শশী প্রেমে পড়েছে তার ননদের। একদিন কুসুমকে যখন শশী ডাকলেন, জবাবে কুসুম বলল, ‘কাকে ডাকছেন ছোটবাবু’। ভালোবাসা মানুষকে বদলে দিতে পারে। প্রেমের বিরহ আনতে পারে সৃষ্টিশীলতা। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মতো লিখতে পারে ‘আকাশের ঠিকানায় চিঠি’। সুনীলের মতো বলতে পারে ‘একশত আটটি নীলপদ্ম’ দেওয়ার কথা। বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল নিয়ে শোনাতে পারে বরুনার ভালোবাসার গল্প। ভালোবাসাহীন সমাজে অনাচার বাড়ে। নিষ্ঠুর অপরাধে জড়ায় সবাই। খুনির কাছে গোলাপ সব সময় মূল্যহীন। বৃষ্টির ঝিরঝির শব্দ অনুভূতিহীন। এখন গোলাপকে সবাই পায়ে মাড়িয়ে চলে। ভরা জোছনায় টিনের চালের রিমঝিম শব্দের সঙ্গে বাড়ির আঙিনার গন্ধরাজে কারও আসক্তি নেই। সামাজিকমাধ্যম কেড়ে নিয়েছে আমাদের আবেগ, বিবেক, স্বাভাবিকতা। কেউ বুঝতে চায় না অস্বাভাবিকতা সমাজ, রাষ্ট্রকে কিছুই দিতে পারে না। সুস্থতাই পারে পৃথিবীকে মঙ্গলময় করতে। কবি নজরুল লিখেছেন, ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল, হে চির নির্মল শান্ত চঞ্চল ধ্রুব অচঞ্চল ধ্রুব-জ্যোতি’। ফিরোজা বেগমের কণ্ঠে বারবার গানটি শুনি।  বোঝার চেষ্টা করি কোথায় ছিলাম, কোথায় যাচ্ছি।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর