সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেন্টমার্টিন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

সেন্টমার্টিন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে

আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্বতঃসিদ্ধ কথা এই, বন্ধু বদলানো গেলেও প্রতিবেশী বদলানো যায় না। প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে তার আঁচ এসে নিজেদের ওপর পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। তাই নিজেদের স্বার্থের জন্যই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শান্তি ও স্থিতিশীলতা কাম্য। আমাদের দুই সীমান্ত প্রতিবেশীর একটি মিয়ানমার। নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক, সামাজিক ও জাতিগত দ্বন্দ্বের কারণে জন্মের শুরু থেকেই মিয়ানমার এক অশান্ত রাষ্ট্র।  ১৯৪৮ সাল থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। ডজনের ওপর জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহ গত ৭৮ বছর ধরে চলতে থাকলেও তার একটিরও চূড়ান্ত কোনো ফয়সালা হয়নি। কখনো কখনো মিয়ানমার সরকার ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা এবং আপসরফা হলেও তা টেকসই হয়নি। কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেমন- কারেন, শান, কাচিন এরা নিজ নিজ এলাকায় দুর্গম অঞ্চলে এক ধরনের স্বশাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। সেখানে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায় এবং তাতে উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এভাবেই চলছে। এর শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। পৃথিবীতে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের দেশ এখন মিয়ানমার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে সামরিক শাসন জারি হওয়ার মধ্য দিয়ে চলমান গৃহযুদ্ধের নতুন এক পর্বের শুরু হয়। তাতে নতুন দুটি বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। প্রথমত, এবারই প্রথম যে, অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) অনুসারী জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মা সম্প্রদায়ের একটি অংশ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নেয়। স্বল্পসংখ্যক হলেও কিছু সামরিক সদস্য পালিয়ে বিদ্রোহে অংশ নেয়, বিদেশে অবস্থিত কিছু কূটনীতিকও পদত্যাগ এবং বিদ্রোহের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমা বিশ্ব এ বিদ্রোহী আন্দোলনকারীদের প্রতি সরাসরি সমর্থন প্রদান করে। এক সময়ে পশ্চিমা বিশ্বের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার নামে একটি প্রবাসী সরকারও গঠিত হয়। এ সুযোগে বিগত সময়ের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলো আবার জেগে ওঠে এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযানে নামে। কিন্তু গত তিন বছরে পরিবর্তন ঘটানোর মতো কোনো সাফল্য তারা দেখাতে পারেনি। রাজধানী নেপিডোসহ সারা দেশে প্রথমদিকে যেমন গণআন্দোলন গড়ে উঠতে দেখা গেছে, তার কিছুই এখন আর নেই। কিন্তু ২০২৪ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাখাইন আর্মি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশকিছু ছোট সামরিক সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থিত কয়েকটি সেনা ও সীমান্তরক্ষী ফাঁড়ি তারা দখলে নিতে সক্ষম হয়। তাতে কেউ কেউ মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে হয়তো রাখাইন রাজ্য মিয়ানমার থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এটা যারা ভাবছেন তারা পৃথিবীব্যাপী জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহের সাফল্য-ব্যর্থতার যে ইতিহাস রয়েছে তার খবর রাখেন বলে মনে হয় না। প্রথমেই মনে রাখা প্রয়োজন একটি প্রতিষ্ঠিত ও সবদিক থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করতে হলে যেরকম রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন এবং সামরিক সক্ষমতা থাকা দরকার তার কিছুই রাখাইন আর্মি অথবা অন্য কোনো সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেই। সে রকম সক্ষমতা অচিরেই তারা অর্জন করবে এমন সম্ভাবনাও নেই। আঞ্চলিক ভূরাজনীতির সমীকরণটি পর্যালোচনা করলে যে কেউ সেটা বুঝতে পারবেন। তবে রহস্যজনক বিষয়টি হলো, রাখাইন আর্মির অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাকাদি পাওয়ার জন্য সরবরাহ লাইনটি কোথায় কীভাবে কাজ করছে তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় রাখাইন আর্মির জন্য কোনো সরবরাহ লাইন খোলা নেই। সমুদ্র ও নৌপথ মিয়ানমার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর স্থলপথের জন্য যে কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র রয়েছে তারা সবাই জানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন রাখাইন আর্মিকে সমর্থন দেওয়া তাদের কারোরই রাষ্ট্রীয় স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। বর্তমানেও নয়, ভবিষ্যতেও নয়। চলমান সংকট সমাধানের আরেকটি বিকল্প পথ আছে, যেটি অনেকাংশেই মিয়ানমার সরকারের ওপর নির্ভরশীল। রাখাইন আর্মির সঙ্গে জান্তা সরকারের একটি আপসরফা হতে পারে। কিন্তু বেশ কয়েকটি বড় সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে বিধায় শুধু আরাকান আর্মিকে বড় ধরনের ছাড় দেওয়া জান্তা সরকারের জন্য সম্ভব হবে না। তাছাড়া জাতিগত বিভেদ ও সমস্যার রকমফেরের মধ্যে পার্থক্য এত বেশি যে, কমন একটা ফরম্যাট ও রাজনৈতিক বিন্যাস বের করা স্বাধীনতার পরপর পঞ্চাশ দশকে যতটা সহজ ছিল, এত বছরের দারুণ তিক্ততায় তা এখন অনেক বড় কঠিন কাজ হয়ে গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন রাখাইন রাজ্যের ভিতরে যেহেতু চীন ও ভারতের বড় বিনিয়োগ রয়েছে, তাই এ দুই দেশের মধ্যস্থতায় একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরে আসতে পারে। কিন্তু এ পথেও দুটি বড় বাধা আছে। প্রথমত, সবকিছুতে চীন-ভারত একমত হবে না। দ্বিতীয়ত, চীনের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হোক তা পশ্চিমা বিশ্ব কিছুতেই চাইবে না। অন্যদিকে গেরিলা যুদ্ধ ব্যবস্থার এমনই বাস্তবতা যে, রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সামরিক অপারেশনের মাধ্যমে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে তার সম্ভাবনাও খুবই কম, যদিও শ্রীলঙ্কার আর্মি সে দেশের তামিল বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা সামরিক পন্থায় আপাত সমস্যার সমাধান করলেও তার জের ধরে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যেরকম মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে এবং তার সূত্রে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার ধাক্কা এখনো শ্রীলঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। সুতরাং উল্লিখিত বাস্তবতায় রাখাইন রাজ্যে অদূর ভবিষ্যতে অথবা আদৌ কোনো দিন শান্তি ফিরে আসবে কি না তা এখন বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী রাখাইন আর্মির মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের সময় দুই পক্ষের গোলাগুলি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভিতরে এসে পড়েছে। তাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষের জন্য অনিরাপদ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তিকর এক ব্যাপার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাখাইন আর্মির আক্রমণে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বেশকিছু সেনা ও সীমান্তরক্ষী সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাদের সবাইকে নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সব সদস্যকে মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিদ্রোহী রাখাইন আর্মি কর্তৃক মিয়ানমারের সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণের পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ফাঁড়িগুলো বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থিত হওয়ায় দখলে নেওয়া সহজ। আর দ্বিতীয় লক্ষ্য হতে পারে পাল্টা আক্রমণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইল, গোলন্দাজ কামান বা বিমান বাহিনী ব্যবহার করলে সেগুলোর গোলা এসে বাংলাদেশের ভিতরে পড়লে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যদি সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাহলে তার মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা পাবে রাখাইন আর্মি। সুতরাং সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ এবং তার জের ধরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেরকম নিরাপত্তাহীন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য বিদ্রোহী রাখাইন আর্মিই সম্পূর্ণ দায়ী। এটা বিদ্রোহী রাখাইন আর্মির গভীর এক দুরভিসন্ধি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে তারা বাংলাদেশকে টেনে নিতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় থাকলে রাখাইন আর্মি সীমান্তের কাছে না এসে তাদের অপারেশনগুলো আরও ভিতরের দিকে রাখতে পারত। সুতরাং রাখাইন আর্মির দুরভিসন্ধিটি বাংলাদেশকে অনুধাবন করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন আর্মির বিচ্ছিন্ন কিছু ক্ষুদ্র আকারের সামরিক সফলতা দেখে কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন রাখাইন আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ গড়ে তোলা উচিত এবং তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন। এটা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী পরামর্শ। যারা এমন পরামর্শ দিচ্ছেন তারা হয়তো ভিন্ন উদ্দেশ্যে জেনে অথবা না জেনে, না বুঝে বাংলাদেশকে এক লক্ষ্যহীন ও স্বার্থহীন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন। মিয়ানমারকে ঘিরে আমাদের দুই বড় বন্ধুরাষ্ট্র চীন ও ভারতের স্বার্থ এবং অবস্থানকে বিবেচনায় নিলে যে কেউ বুঝবেন রাখাইন আর্মি সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে যেতে পারলেও অদূর ভবিষ্যতে তারা রাখাইন রাজ্যকে স্বাধীন করে ফেলবে এমন সম্ভাবনা জিরো ছাড়া অন্য কিছু নয়। হবে না, তারপরও যদি ধরি রাখাইন রাজ্য স্বাধীন হয়ে গেল, তাহলে সে রাষ্ট্রের ওপর যে শক্তি বলয়ের প্রবল প্রভাব থাকবে তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। কেউ হয়তো ভাবতে পারেন রাখাইন স্বাধীন হয়ে গেলে রোহিঙ্গারা সেখানে ফেরত যেতে পারবে। এ ধারণাটিও বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গে মেলে না। রাখাইন সম্প্রদায়ের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বিগত সময়ে একবার নয়, বহুবার এরকম ঘটেছে যে, এই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী রাখাইন সম্প্রদায় ও মিয়ানমারের মূল ভূখন্ডের বার্মিজ সম্প্রদায় একত্রে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধন অভিযান চালিয়েছে এবং দেশছাড়া করেছে। এ অঞ্চলের আদি নাম আরাকান, যার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শেকড় প্রোথিত। ১৯৭৪ সালে সামরিক শাসক জেনারেল নে-উইন রোহিঙ্গাদের শেকড় কেটে ফেলার জন্য এই অঞ্চলটির নাম আরাকানের পরিবর্তে রাখাইন রাখে, যার প্রতি প্রবল সমর্থন দেয় রাখাইন সম্প্রদায়। নিজেদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য আরাকান আর্মি নয়, তারা নিজেদের নামকরণ করেছে রাখাইন আর্মি। সুতরাং তেলে-জলে কখনো মিলবে না। সম্প্রতি আমাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও রাখাইন আর্মির মধ্যে গৃহযুদ্ধের তীব্রতা আবার বৃদ্ধি পায়। তাতে মিয়ানমার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড নৌপথে রাখাইন আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। বিপরীত দিক থেকে রাখাইন আর্মি মিয়ানমারের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে যে গুলি ছুড়ে তা সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে এসে পড়ে। তাতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত নৌপথটি সাময়িক সময়ের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপ। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরকে ঘিরে কৌশলগত প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি বলয়ের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-প্রতিযোগিতা চলছে তাতে সেন্টমার্টিন সব পক্ষের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি জায়গা। তাই দ্বীপটির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে নতুন করে ভাবতে হবে। একটা উপযুক্ত ডেটারেন্ট বা প্রতিরোধক সৃষ্টির জন্য সেন্টমার্টিনে আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

            [email protected]

সর্বশেষ খবর