শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাণিজ্য ঘাটতি

রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ান

বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী প্রবচনটির মতো ‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ প্রবচনটিও অনেকের জানা। বাংলাদেশে গত সাড়ে তিন দশকে যে নজরকাড়া উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে মুক্ত অর্থনীতি তথা সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি। ক্ষুদ্র আয়তনের এ দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের বদৌলতে এ বিশালসংখ্যক লোকের সিংহভাগের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। একসময়ের কৃষিনির্ভর এ দেশ থেকে শিল্পপণ্যও রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। কিন্তু লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগও প্রবল। দেশ থেকে যে পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, প্রাপ্ত অর্থের একাংশ দেশে ফেরত আনছেন না অসৎ ব্যবসায়ীরা। বিশেষত গার্মেন্ট খাতে এমন অভিযোগ প্রবল। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৮২টি দেশের সঙ্গে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৫ হাজার ২৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল ছাড়া বাকি দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭ হাজার ৭৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি ভারতের সঙ্গে ৭ হাজার ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাকিস্তান, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপের সঙ্গেও রয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি। তবে শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের সঙ্গে ছিল উদ্বৃত্ত। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তামাক ও মদ জাতীয় ২৫টি পণ্য বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের মতে, বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে হলে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে হবে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও বহুমুখীকরণও জরুরি। পণ্য রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের যে কারসাজি চলে তার ইতি ঘটাতে হবে।

সর্বশেষ খবর