শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

রদবদলে ভাগ্য বদল হবে কি

মহিউদ্দিন খান মোহন

রদবদলে ভাগ্য বদল হবে কি

হঠাৎ করেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। ঈদুল আজহার দুই দিন আগে গত ১৫ জুন এ রদবদল সম্পন্ন হয়। ঈদের আগের দিন ১৬ জুন সবাই পত্রিকা মারফত সে রদবদলের খবর জানতে পেরেছেন। এ রদবদল কারও মনে আনন্দের বন্যা বইয়ে দিয়েছে, আবার কারও মন বিষাদে ভরে গেছে। মোট ৩৯টি পদে রদবদল এনেছে দলটি। তবে এ রদবদল দলটির জন্য কতটা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। কেননা, পদোন্নতির নামে বেশ কয়েকজন সক্রিয় নেতাকে ‘ডাম্পিং জোন’ হিসেবে আখ্যায়িত ‘চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা’ করা হয়েছে। বলা নিষ্প্রয়োজন, এই উপদেষ্টা পদটি এক ধরনের শোভা বর্ধনীয় পদ, দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এ পদের কোনো ভূমিকা বা মূল্য নেই। সবচেয়ে বড় কথা, যে বয়সে ওইসব উদীয়মান নেতার চেয়ারপারসনের একান্ত অনুগত কর্মী হিসেবে দলে কাজ করার কথা, অর্থাৎ তাঁর নির্দেশাবলি পালন করার কথা, তাদেরকে করা হয়েছে তাঁর উপদেষ্টা। বয়স এবং অভিজ্ঞতায় জুনিয়র ওইসব নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কী উপদেশ দেবেন বা দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন কি না এ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরও একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। তবে তা দলটির সভাপতির নয়, দলের উপদেষ্টামণ্ডলী। আর সে উপদেষ্টামণ্ডলীতে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হন, তাঁরা সবাই বর্ষীয়ান এবং প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। প্রয়োজনে তারা দলকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারপারসনের, দলের নয়। ফলে উপদেষ্টাদের তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। তাছাড়া এমনসব তরুণ নেতাকে উপদেষ্টা করা হয়েছে যে, কেউ কেউ সেটাকে ‘কচি-কাঁচার আসর’ বলে অভিহিত করছেন।

রদবদল প্রক্রিয়ায় অবশ্য বেশ কয়েকটি পদে কয়েকজন তরুণ নেতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা অনেকের কাছেই সঠিক মূল্যায়ন বলে মনে হচ্ছে। সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর যুগ্ম মহাসচিব পদে পদোন্নতিকে অনেকেই সঠিক মূল্যায়ন বলে মনে করছেন। এঁরা দুজনই দলের পরীক্ষিত, নিষ্ঠাবান এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। আবদুস সালাম আজাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছেন এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে গিয়ে জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। অপরদিকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তরুণ বয়সে দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, নিজ এলাকায় নিজের ও দলের শক্ত ভিত স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। তবে আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার একান্ত সহচর ও ওয়ান-ইলেভেনের সময় সামনের কাতারের সংস্কারপন্থি সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের যুগ্ম মহাসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার উদ্দেশে ২০০৭ সালের ২৫ জুন মান্নান ভূঁইয়া যে সংস্কার প্রস্তাব গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন, সেই প্রস্তাবের কপি খালেদা জিয়ার বাসায় পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এমরান সালেহ প্রিন্স। তবে বেগম জিয়া প্রিন্সকে তাঁর বাসায় ঢোকার অনুমতি দেননি। সেই এমরান সালেহ প্রিন্স এখন দলের যুগ্ম মহাসচিব! অপরদিকে সংস্কারপন্থি জহির উদ্দিন স্বপন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ। এটা স্বপনের জন্য বিরাট পুরস্কার। কেননা, ওয়ান-ইলেভেনকালীন তিনি যে ভূমিকা ও বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তার তিরস্কৃত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি পেলেন ‘মহামূল্যবান’ পুরস্কার। রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কত কিছুই না ঘটে! ওয়ান-ইলেভেনের সময় মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পাশে থেকে দলের পক্ষে কাজ করেছেন, কিন্তু বর্তমানে দলে অবমূল্যায়িত, দেশের উত্তরাঞ্চলের এক নেতা আক্ষেপ করে বললেন, ‘মোহন ভাই, সেদিন যদি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ন্যাম ভাবনের বাসায় না গিয়ে গুলশানে মান্নান ভূঁইয়ার বাসায় যাতায়াত করতাম, তাহলে হয়তো দলে ভালো পদ পেতাম।’ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, সেই গল্পটি নিশ্চয়ই আপনার জানা থাকার কথা- ‘এক যুবক চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিল তার বড় ভাইয়ের অফিসে। বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল- কী রে তোর ভাই তো ওই অফিসের বড় কর্তা, তোর চাকরিটা কি হয়েছে? যুবক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘ভাইরে, আমি যদি ভাইয়ের ভাই না হয়ে শালা হইতাম, তাইলে চাকরিটা ঠিকই পাইতাম।’ মানে চাকরিটা পেয়েছে ভাইয়ের শ্যালক।’ গল্প শুনে তিনি বললেন, দুঃখের মধ্যেও হাসালেন ভাই!’

সায়েদুল হক সাঈদ ছিলেন কুমিল্লা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় এই তরুণ নেতাকে পদাবনতি দিয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই পদাবনতির অর্থ যে সংশ্লিষ্ট নেতাকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পদক্ষেপ তা অত্যন্ত পরিষ্কার। স্মরণযোগ্য, এর আগে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনকেও একই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অবনমিত করে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

যাঁদেরকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে, তারা সবাই এখনো দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ নেতার প্রয়োজন কি দলে ফুরিয়ে গেছে? এসব সক্রিয় নেতাকে ‘চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা’ নামে অলংকার বানিয়ে শো-কেসে রেখে দিয়ে কী ফায়দা হাসিল করবে বিএনপি? অনেকেই মনে করছেন যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কায়সার কামালের সঙ্গে দ্বন্দ্বের খেসারত দিলেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলের মতে, প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে এসব নেতাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার খেসারত অচিরেই বিএনপিকে দিতে হবে।

এদিকে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন’স ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি’ এবং ‘স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসন’স ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি’ নামে দু’টি অভিনব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগে ছিল দলের ফরেন রিলেশনস কমিটি। এখন তা চেয়ারপারসনের অ্যাডভাইজরি কমিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। হিসাব মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের এখন তিনটি অ্যাডভাইজরি কমিটি। একটি সাধারণ উপদেষ্টা পরিষদ আর বিদেশ সংক্রান্ত নতুন দুটি উপদেষ্টা পরিষদ। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, সে অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান হয়েছেন (চেয়ার অব দ্য কমিটি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই। খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিতে অক্ষম বিধায় তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সে হিসেবে সবগুলো উপদেষ্টা কমিটি তারই পরামর্শক হিসেবে কাজ করার কথা। তাহলে সেই উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হিসেবে (চেয়ার) তিনি আসেন কোন যুক্তিতে? আর ওই দুই কমিটিতে যারা রয়েছেন, তারা সবাই বর্তমানে বিএনপির কোনো না কোনো পদে অধিষ্ঠিত আছেন। কেউ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেউ ভাইস চেয়ারম্যান, কেউ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। আবার কেউ সাংগঠনিক সম্পাদক, কেউ আছেন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত নেতাদের পুনরায় আরেকটি কমিটিতে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এর ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্টরাই জানেন।

দলে এই রদবদল এবং ভবিষ্যতে আরও রদবদল হবে- এমন খবরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে পদ হারানো এবং রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে ২০ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ‘বিএনপির সিনিয়র নেতারা আতঙ্কে’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনের প্রথম ধাপে ব্যাপক রদবদল বিএনপির অভ্যন্তরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এতে সিনিয়র নেতারা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা এ রদবদলকে মূল্যায়নের নামে অবমূল্যায়ন হিসেবেই দেখছেন। এই প্রক্রিয়ায় আরও অনেক বড় বড় নেতা পদ হারাতে পারেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রদবদল সম্পর্কে দলটির হাইকমান্ড তারেক রহমান ছাড়া আর কেউই কিছু জানেন না। এর মাধ্যমে তিনি দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলার বার্তা দিয়েছেন। সামনে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও রদবদল হতে পারে। সেখানে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন সংস্কারপন্থিদের ‘অস্থায়ী মহাসচিব’ মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ (অব.), আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ কয়েকজন। তবে মেজর হাফিজকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানও করা হতে পারে। তাছাড়া সমমনা দল থেকে দু-একজনকে স্থায়ী কমিটিতে আনা হতে পারে বলেও প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে। নামোল্লেখ না করলেও প্রতিবেদনের ভাষ্যে বোঝা যায়, এক্ষেত্রে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) এগিয়ে রয়েছেন। যদি তাই ঘটে তাহলে ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ আপ্তবাক্যটি আরেকবার সত্য বলে প্রমাণিত হবে। সে সঙ্গে ওয়ান-ইলেভেনের সময় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এবং বর্তমানে অবহেলিত কর্মীরা সবিস্ময়ে দেখবেন, একদা যিনি বলেছিলেন, ‘অনেকে বলে মা ভালো ছেলে খারাপ, আমি বলি দুটোই বদমাশ’ কিংবা ‘তারেক জিয়া যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে’ ওয়ান-ইলেভেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো ব্যক্তিটি স্বমহিমায় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতার আসনে শোভা বর্ধন করছেন।

একটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে নেতৃত্বের রদবদল অস্বাভাবিক নয়। বরং এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি নেতারাও সংবাদমাধ্যমের কাছে সে কথা বলেছেন। তবে এই পরিবর্তন বা রদবদল হতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। বিএনপি এখন তাদের ভাষায় দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ‘সমরে’ লিপ্ত। কিন্তু যে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে, সে দলের দ্বারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, সে আস্থা কি রাখা যায়? রাজনৈতিক দলের কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয় জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে। সারা দেশ থেকে আগত কাউন্সিলররা নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন। বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে আট বছর আগে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। তিন বছর অন্তর কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠানের যে বিধান দলটির গঠনতন্ত্রে রয়েছে, সে হিসাবে এরই মধ্যে দুটি কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। সারা দেশের কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালন করছেন একজন মাত্র ব্যক্তি। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে এমন নজির আছে কি না সন্দেহ।

অনেকেবই ভেবেছিলেন, আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থেকে বিএনপি নেতৃত্বের বোধোদয় ঘটবে। তারা দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সাম্প্রতিক রদবদল দলটির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার পরিবর্তে হতাশ করেছে। একদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় চার শ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার, অপরদিকে পুনর্গঠনের নামে সক্রিয় প্রভাবশালী নেতাদের রাজনীতি-মাঠের ‘সাইড লাইনে’ বসিয়ে রাখার পদক্ষেপ দলটিকে অধিকতর দুর্বিপাকে ফেলবে বলে রাজনীতি অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। আর সে কারণেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কমিটির এই রদবদল বিএনপির ভাগ্য বদলে আদৌ সহায়ক হবে কি না।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর