শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব

পররাষ্ট্রনীতিতে জাতীয় স্বার্থের প্রাধান্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে তার সরকার। একটানা চারবার এবং এর আগে একবার পাঁচবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এই নীতিকে সামনে রেখে। যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখনো অভিন্ন নীতি অনুসৃত হয়েছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু। অন্যদিকে চীন যেভাবে নিজেদের উন্নত করেছে তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে। এসব বিষয় সামনে রেখেই সম্পর্ক বজায় রাখা হচ্ছে। কোনোদিকে ঝোঁকা ঝুঁকির কিছু নেই।

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। যে প্রস্তাবটা দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে, সেটাই করা হবে। সে ক্ষেত্রে ভারত যখন বলছে তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় এবং টেকনিক্যাল গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই তারা আসবে। আমরা যৌথভাবে সেটা দেখব। চীনও একটা সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ভারতও একটা করবে। যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, লাভজনক সেটাই করা হবে। ভারত যদি আমাদের প্রকল্প করে দেয় আমাদের সব সমস্যার সমাধানই হয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প করলে পানি নিয়ে প্রতিদিন প্যাঁ প্যাঁ করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার ভারত সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেশের পররাষ্ট্রনীতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বিশেষত পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তার বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যের দাবিদার। বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান বাংলাদেশের মানুষকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করলেও বঙ্গবন্ধু সরকার চীনের সঙ্গে বৈরিতার পথ বেছে নেয়নি। এ মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকলেও বাংলাদেশ বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই কোনো দিকে জড়ায়নি। ভারতের আমন্ত্রণে সে দেশ সফরের পর প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে। উভয় ক্ষেত্রে ভারত কিংবা চীন নয় জাতীয় স্বার্থ প্রধান্য পেয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু নয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতির বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর