শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিনিয়োগে ধস

স্থিতিশীল পরিবেশ জরুরি

বিনিয়োগের উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন, সম্পদ সুরক্ষিত এবং বৃদ্ধি করা। বিনিয়োগ সম্পদ তৈরি করে, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা জোগায়। শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। তাই বিনিয়োগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে। অথচ এমন একটা অপ্রিয় বাস্তবতাই এখন প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে প্রকাশ- চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে স্থানীয় ও বিদেশি মিলে ৭০০ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৬৭২ প্রকল্পে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। প্রকল্প নিবন্ধনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও কার্যত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ধস নেমেছে। এক বছরে যৌথ বিনিয়োগের পরিমাণও কমেছে ২১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। কারণ হিসেবে বলা যায়, করোনা মহামারির পরপরই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরপর লাগাতার মধ্যপ্রাচ্য সংকট। গোটা বিশ্বেই টালমাটাল অবস্থা। এরকম পরিস্থিতিতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বিনিয়োগ হার নিম্নমুখী। সে তুলনায় বরং বাংলাদেশের অবস্থা খুব মন্দ নয়। তবুও আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, বিনিয়োগ হ্রাস পেলে শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যের সব শাখাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাদ যাবে না পুঁজিবাজার, রিয়েল এস্টেট খাতও। অর্থনৈতিক প্রবাহ কমে যাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হয়ে বরং কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। তাতে বেকারত্ব বাড়বে। এতে জাতির ব্যক্তি ও সমষ্টিক জীবনে টানাপোড়েন সৃষ্টির ভয় রয়েছে- যেগুলোর সবই অশুভ। এ থেকে উত্তরণে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ অনেক। এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। বিনিয়োগ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে এগুলো অত্যন্ত জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর