শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতের ভয়াল সিন্ডিকেট ভাঙুন

নঈম নিজাম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতের ভয়াল সিন্ডিকেট ভাঙুন

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দয়া করে ভুল তথ্য উপস্থাপনকারীদের ওপর নির্ভরশীল হবেন না। আপনার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করবেন না। আপনি একজন নীতিমান মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য খাত রাহুর কবলে আছে। কেনাকাটার নামে হয় লুটপাট। চিকিৎসার নামে চলে অরাজকতা, নৈরাজ্য। মানুষকে জিম্মি করে হচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবসা। সরকারি-বেসরকারি সবখানে একই চিত্র। বেসরকারি খাত লাগামহীন। সরকারি খাতে কেনাকাটার ব্যবসা সিন্ডিকেটের দখলে। প্রয়োজন না থাকলেও তারা সিন্ডিকেট গড়ে চায়নিজ ইকুইপমেন্টে জাপান, জার্মানির সিল মেরে কেনেন। তারপর ফেলে রাখেন গুদামে। কোনো কাজে লাগে না। প্রশ্ন উঠলে বলেন, টেকনিশিয়ান নেই। কীভাবে চালু করব? টেকনিশিয়ান না থাকলে আপনি কেন যন্ত্র কিনলেন? গোডাউনে স্বাস্থ্যের ইকুইপমেন্ট পড়ে থাকতে পারে না। সরকারের ইমেজ নষ্টকারী এ চক্রকে সবাই চেনে। সবাই জানে। তার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাদের হাত নাকি অনেক লম্বা। সাময়িকভাবে মিঠুরা বিদায় নেন। তৈরি হয় নতুন সিন্ডিকেট। নিত্যনতুনভাবে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটই নিয়ন্ত্রণ করছে স্বাস্থ্য খাত।

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সিন্ডিকেটের দানব গোষ্ঠী সরকারের অর্জিত সুনাম বিনষ্ট করছে। চারদিকে তৈরি করছে অসহায় পরিস্থিতি। অবসান দরকার সব সিন্ডিকেটের। আপনি পারবেন বলেই বিশ্বাস করি। আপনার মাঝে উদ্যোগী তৎপরতা আছে। সততা-নিষ্ঠা আছে। অতীত কাজের সাফল্য আছে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে। দায়িত্ব নিয়ে আপনি চেষ্টা করছেন। নিজে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। সিন্ডিকেট ও চক্রগুলোকে চেষ্টা করছেন বিতাড়িত করতে। তার পরও ভয় কাটে না। আমার দাদি বলতেন, চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও ভয় করে। আমাদের অবস্থা তেমনই। কারও ঘরে আগুন লাগে। কেউ খায় আলু পোড়া। গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে আপনার দেওয়া একটি জবাব আমাকে বিস্মিত করেছে। এতটা অসত্য উত্তর কীভাবে সংসদে আসে? প্রশ্নটি ছিল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা ইউনিয়নের গোহারুয়া গ্রামে স্থাপিত সরকারি হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ চালুর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? থাকলে কবে নাগাদ চালু করা হবে। জবাবে বলা হলো, ‘২০০৬ সালে হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়। যা উপজেলা সদর দফতর থেকে জনবসতিহীন বিলের পাশে (উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে বিল)।’ তারপর আরও তথ্য দেওয়া হয়েছে, ‘হাসপাতাল চালু, চিকিৎসক ও নার্স আছে।’ সংসদে প্রদত্ত এ বক্তব্য বিস্মিত-হতাশ করেছে।

মাননীয় মন্ত্রী, আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়া গ্রামের এ হাসপাতালটি সরেজমিন পরিদর্শন করতে। আপনার সঙ্গে আমিসহ একদল সিনিয়র সাংবাদিক যাব। প্রয়োজনে সঙ্গে নিন কয়েকজন জাতীয় সংসদ সদস্যকে। সিভিল সোসাইটির বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে রাখা যায়। সবাই মিলে দেখব কোথায় বিল? জনবসতি আছে কি নেই। তারপর আপনি ব্যবস্থা নেবেন স্বাস্থ্য খাতের মিথ্যুকদের বিরুদ্ধে। আপনার আগে আরেকজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটি দেখে এসেছিলেন। তিনি মোহাম্মদ নাসিম। অনুরোধ আমি করেছিলাম। তিনি ঘুরে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরও স্বাস্থ্য খাতের দুর্বৃত্তদের কারণে হাসপাতালটি আর গুছিয়ে দিতে পারেননি। নাসিম ভাইয়ের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। যারা গ্রামে পোস্টিং নিয়ে যেতে চান না তারাই হাসপাতালটি করতে দিচ্ছেন না। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, হাসপাতালের ধারেকাছে কোনো বিল নেই। গোহারুয়া ঘনবসতিপূর্ণ একটি গ্রাম। প্রতিটি বাড়ি একটির সঙ্গে আরেকটি ঘেঁষে রয়েছে। আশপাশের গ্রামগুলোও একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পৃক্ত। নাঙ্গলকোটের জোড্ডা ইউনিয়নের দুটি অংশের মোট অধিবাসী ৫০ হাজারের বেশি। শুধু এ ইউনিয়ন নয়, আশপাশের সব ইউনিয়ন এবং মনোহরগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী উপজেলার অনেক গ্রামের অবহেলিত মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়েই হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ সরকারি টাকায় হাসপাতাল হয়েছে। এখন ধান ভানতে সবাই গাইছে শিবের গীত। আসলে সমস্যা হাসপাতাল নয়, আপনার চিকিৎসকরা গ্রামে থাকতে চান না। তাই তদন্তে গিয়ে হাসপাতালের সামনের পুকুরকে তারা মনে করেন বিল। তারা চোখে দেখেন না সংযুক্ত ১০টি গ্রাম ও ঘরবাড়ি। ২ কিলোমিটারের মধ্যে মানিকমুড়া, মান্দ্রা, ঘোড়াময়দান তিনটি বড় হাটবাজার, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদরাসা, দুটি হাইস্কুল। এ কয়েকটি গ্রামে মসজিদ আছে ২৫টি। বিলের মধ্যে এত কিছু কী করে থাকতে পারে? এ লেখাটি পড়ে আপনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসককে ফোন করুন। তাকে বলুন একটি রিপোর্ট পেশ করতে। দেখবেন বাস্তবটাই পাচ্ছেন।

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দেশের স্বাস্থ্য খাতের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার ওপর আস্থা রেখেছেন। আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশ্বাস করি আপনি পারবেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্যায়ন করে স্বাস্থ্যসেবা গ্রামের সাধারণ মানুষকে উপহার দিতে। মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে হলে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে স্বাস্থ্য খাতের আমলাদের ওপর। কেনাকাটায় অর্থবিত্ত বানানো সিভিল সার্জন ও বড় স্যারদের ওপর। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও জেলা সিভিল সার্জনদের কবলে পড়লে অন্য অনেকের মতো আপনারও সফলতার কোনো সুযোগ নেই। অতীতের মতো যা হওয়ার তা-ই হবে আগামীতে। মানুষ কথা নয়, বাস্তবিক কাজ দেখতে চায়। কঠিন বাস্তবতায় সবকিছুর মোকাবিলা দেখতে চায় শক্ত হাতে। স্বাস্থ্য খাতের বেপরোয়া কেনাকাটা বন্ধ করুন। অনুসন্ধান করুন কোন স্বার্থে কারা এসব করেছে? প্রয়োজনহীন ইকুইপমেন্টের তালিকা কারা তৈরি করেছে? তাদের শনাক্ত করুন। মিঠু সিন্ডিকেটের ভাগাভাগির অতীত ইতিহাসে যেতে চাই না। আমলারা পারস্পরিক যোগসাজশে সিভিল সার্জন ও বড় হাসপাতালের দায়িত্ববানদের কর্মে সায় দিয়েছিল বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। সেই যুগে আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কঠিনভাবে লাগাম টানুন।

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিশ্বাস করি পারবেন আপনি। মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের লাগামহীন অনিয়মের তদন্তে কমিটি করেছেন। নিজে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেছেন অনিয়মের ছড়াছড়ি। জেনেছেন মানুষের জীবনমৃত্যু নিয়ে কীভাবে ব্যবসা হয়। চিকিৎসকদের অনাদর-অবহেলা আপনারও চোখে পড়েছে। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নাদিয়া নুর ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। স্বপ্ন দেখা মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর। স্বামী ও একমাত্র চার বছরের সন্তানটি নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। আরেকটি চার মাসের সন্তান ছিল পেটে। হাসপাতালে ভর্তির দুই দিনের মধ্যে মেয়েটি মারা গেলেন। সুস্থ মানুষ ডায়রিয়া নিয়ে গেলেন হাসপাতালে, বের হলেন লাশ হয়ে। চার বছরের শিশু সন্তানের কান্না থামছে না। পরিবার-পরিজন হতবাক, বিস্মিত। মেয়েটির শরীরে কোনো অসুখ ছিল না। সন্তানসম্ভবা হিসেবে এভারকেয়ার হাসপাতালে পরীক্ষা করাতেন নিয়মিত। ডাক্তার দেখাতেন। কেউ কোনো সমস্যা পাননি। হঠাৎ ডায়রিয়ার কারণে বাসার পাশের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে দ্বিতীয় দিনে পরিবারের সদস্যরা বললেন, এভারকেয়ারে নিতে চান। সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর থেকে স্যালাইনসহ আইসিইউ দেওয়া সব যন্ত্র খুলে ফেলা হলো। পোশাক বদলে ফেলে রাখা হলো আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। চিৎকার করে ডাক্তার-নার্সের সহায়তা পাননি। এভারকেয়ারের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চিকিৎসক-নার্সেরা এলেন। তারা বললেন, রোগীকে আপনারা কি মেরে ফেলার জন্য এভাবে রেখে দিয়েছেন? মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, নিয়ম অনুযায়ী আইসিইউ রোগীকে কীভাবে নিতে হয় একজন চিকিৎসক হিসেবে আপনিও জানেন। রোগীকে এভাবে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার কারণে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এভারকেয়ার এ অবস্থায় রোগী নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। না খেতে পেরে মেয়েটির পেটে থাকা বাচ্চাটি মারা যায়। মৃত বাচ্চাটি বের করা হলো নিষ্ঠুরভাবে অপারেশন করে। অপারেশন থিয়েটারে কতজন রোগী থাকে? একদিকে অপারেশন চলছে। একই স্থানে অন্য রোগীর স্বজনরা যাচ্ছে দেখা-সাক্ষাতে। এটা কোন ধরনের চিকিৎসাব্যবস্থা? অদ্ভুত সবকিছু!

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশে মোট কতটি বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক আছে কেউ জানে না। এর মধ্যে কতটি বৈধ? কতটি অবৈধ? আমার জানা মতে, বৈধ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অবৈধ বেশি। ডাক্তার নেই, নার্স নেই হাসপাতাল খুলে বসে আছে। সরকারি হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড় থাকে। সিটের তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি হয়। বেসরকারি হাসপাতালে কেন এমন হবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য, টেস্টের জন্য কত টাকা ফি তা নির্ধারণ নেই। ইকুইপমেন্টের আলোচনায় নাই গেলাম। বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে কোনো প্রফেসর নেই। বিশেষজ্ঞ বলতে সহকারী অধ্যাপক। বাকি সবাই ইন্টার্নি অথবা সাধারণ চিকিৎসক। অনেক হাসপাতালে তা-ও নেই। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স নেই। চিকিৎসার নামে নৈরাজ্য হয়। অসহায় মানুষকে জিম্মি করা হয়। মৃত্যুর পরও রেহাই নেই। লাশ রেখে স্বজনদের জিম্মি করে আদায় করা হয় অর্থ। বাংলাদেশে অনেকে এখন আর ভয়ে হাসপাতালে যান না। সেদিন কলকাতার এক বন্ধু বললেন, আমাদের হাসপাতালে যেতে পারি না। গেলে দেখি শুধুই বিদেশি রোগী। বললাম, তোমাদের হাসপাতালে কোন দেশের রোগী বেশি? বন্ধু হাসলেন। তারপর বললেন, বিদেশি বলতে সবাই বাংলাদেশের। দিল্লি, মুম্বাইতে কিছু আফ্রিকান আসেন। অথচ একটা সময় ত্রিপুরা, নেপালের রোগীরা বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য আসতেন। আগে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত ছিল না। এখন চেন্নাইতে কয়টি ফ্লাইট প্রতিদিন চলে খোঁজ নিন? শুধু চেন্নাই নয়, দিল্লি, মুম্বাইয়ের হাসপাতালও বাংলাদেশের রোগীতে ঠাসা। সামর্থ্যবানেরা যান ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরে। সেদিন কুমিল্লা থেকে ফিরতে দেখলাম হাইওয়ের দুই পাশে সমানে বেসরকারি হাসপাতাল হচ্ছে। কারা করছে, কারা অনুমতি দিচ্ছে, নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কি না জানি না। শুধু সাইনবোর্ড খুলে হাসপাতাল করলে চলবে না। সত্যিকারের চিকিৎসা জরুরি।

অনিয়মই এখন নিয়ম। অনেক সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। দালালরা গরিব রোগীদের কাছে গিয়ে বলে এখানে চিকিৎসা নেই। ডাক্তার সাহেব অন্যখানে বসেন। সেখানে ভালোভাবে দেখবেন। পরীক্ষানিরীক্ষারও যন্ত্রের অভাব নেই। চিন্তা করবেন না। শুধু একবার যাবেন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে। অসহায় রোগীর স্বজনরা চিন্তা করেন, বেঁচে থাকাটাই জরুরি। অসহায়ত্ব নিয়ে আপনজনদের ভর্তি করান দালালদের কথামতো। তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ভিটেমাটি বিক্রি করে। চিকিৎসক ও মালিকদের মনোভাব- মরলে-বাঁচলে আমাদের কী? টাকা হাতে এলেই চলবে। ভরসাস্থল হিসেবে মানুষ ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধুতে ভর্তি হতে চান। কিন্তু আসন খালি নেই। মন্ত্রী-এমপিরা তদবির করেও লাভ হয় না। রোগীরা ভালো কিছু চান। প্রতিটি জেলা শহরে সরকারি হাসপাতালগুলোকে ভালোমানের হিসেবে গড়ে তুলুন। সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অধিকার আমাদের সংবিধান দিয়েছে। জেলা সরকারি হাসপাতালে এমআরআই, আইসিইও, এনজিওগ্রাম, এক্স-রেসহ সব পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। এতে ঢাকার ওপর চাপ কমবে। মানুষ চিকিৎসাসেবা পাবে। বিদেশ যাবে না। জেলা শহরে হার্টের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখুন। চিকিৎসকরা শুধু ঢাকা শহরে থাকলে চলবে না। জেলা-উপজেলায় যেতে হবে তাদের। প্রয়োজনে ইন্টার্নিদের গ্রামের হাসপাতাল, ক্লিনিকে পাঁচ বছর থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় আমরা সেমিনারে বড় ডাক্তারদের জ্ঞানী ভাষণ শুনব। টিভিপর্দায় বক্তৃতা দেখব। চিকিৎসা পাবে না কেউই। দেশের ডলার চিকিৎসা খাতে চলে যাবে বিদেশে। কেউ আটকে রাখতে পারবে না। কেউ ঠেকাতে পারবে না। মানুষের কাছে বেঁচে থাকার চেয়ে জরুরি আর কিছু নেই।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর