শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

পাচার বন্ধ ও সুশাসনে জোর দিতে হবে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের দেওয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ ঋণের বদৌলতে রিজার্ভ নিয়ে যে সংকট ছিল তা থেকে উত্তরণ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সসহ বৃহস্পতিবার দিন শেষে চূড়ান্ত হিসাবে তা বেড়ে হয় ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। সেদিনই আইএমএফের পাশাপাশি ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-আইডিবি, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইবিআরডি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ৯০ কোটি ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আসে। তবে সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন তখনো চলছিল। সে কারণে ওই দিনের চূড়ান্ত স্থিতি জানা যায় গত শুক্রবার। স্মর্তব্য, আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। কয়েক দফা আলোচনা শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। ঋণচুক্তি অনুমোদনের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার হাতে পায় বাংলাদেশ। আর গত ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশ পায় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আইএমএফের ঋণের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিদ্যমান সংকটের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তি কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে সংকট নিরসনে অর্থনৈতিক সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। বিলাসী পণ্য আমদানিতে বাদ সাধতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের প্রধান কারণ দেশ থেকে সম্পদ পাচার হয়ে যাওয়া। মনে করা হয় অসৎ আমলারা উৎকোচের মাধ্যমে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনছে এবং নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে সে অর্থ পাচার করছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পাচার বন্ধের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর