সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুর্নীতি রুখতে হবে

ওরা সব সাফল্য গিলে খাচ্ছে

বাংলা ভাষার একটি প্রবচন-‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান’। সর্বকালের সেরা বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামে এ প্রবচনটি নানা প্রসঙ্গে বারবার উচ্চারণ করেছেন। দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে জাতির পিতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিলÑ আমাদের দেশের কৃষক শ্রমিক গরিব মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে সাদা পোশাকওয়ালারা। সোজা কথায় আমলা, রাজনীতিক আর ব্যবসায়ীদের অসৎ অংশের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ একসময় শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার সত্ত্বেও গত দেড় দশকে দুর্নীতি খুব একটা কমেছে বলার সুযোগ নেই। বিশেষ করে অসৎ আমলা, হাইব্রিড রাজনীতিক এবং দেশপ্রেমবর্জিত ব্যবসায়ীদের বিদেশে অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে। মতিউরপুত্রের ছাগলকা- এবং বেনজীরের নজিরবিহীন সম্পদ অর্জনের ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ায় লুটেরা ঘুঘুদের বিরুদ্ধে সরকারের রুখে দাঁড়ানোর তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। দুর্নীতি করলে রেহাই নেই। যারা দুর্নীতি করবে তাদেরই ধরা হবে। বেনজীর ও মতিউরকা-ের পর সচিবালয়েও টেনশন শুরু হয়েছে বিতর্কিতদের মধ্যে। সচিবদের ভিতর যারা ঘুষ উৎকোচের অন্ধ গলির বাসিন্দা নন, তারাও চান দুর্নীতিবাজদের কঠোরভাবে ধরা হোক। আমলা মানেই আরব্য উপন্যাসের ‘থিফ অব বাগদাদ’ বিষয়ক যে ধারণা জনমনে গড়ে উঠেছে তার অবসান হোক। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে আগের হাজার বছরের সাফল্যকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই অভাবনীয় সাফল্যের গুড়ের এক অংশ পিঁপড়ায় খেয়ে যাচ্ছে। মানুষ নামের অযোগ্য যেসব নোংরা বরাহ সরকারের সাফল্য গিলে খাচ্ছে তাদের দমনে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক দেশ, জাতি ও সমাজের সেই শত্রুদের নখর ভাঙতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা সংশয় থাকা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর