মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধর্ষণ প্রবণতা

পর্নোগ্রাফি বন্ধে কঠোর হোন

দেশে একের পর এক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। গ্রামাঞ্চল ও শহরের বস্তিগুলো ধর্ষকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা দুনিয়ায় ধর্ষণ দূরের কথা, যে কোনো যৌন হয়রানির শতকরা ৯৫ ভাগই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গোচরে আসে। ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সামাজিক মানসিকতার জন্য এ দেশে শতকরা ৫ ভাগ ধর্ষণ কিংবা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয় কি না সন্দেহ। কারণ আইনের আশ্রয় ভুক্তভোগীদের দৈহিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়াকেই নিশ্চিত করে। বখাটে ও লম্পটদের কারণে নারী এখন ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। ঘুরতে গিয়ে, এমনকি পাবলিক পরিবহনেও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নানা বয়সি নারী। দেশে প্রতি মাসে এখন গড়ে ১০টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বেপরোয়া ধর্ষণের জন্য দায়ী সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়। মাদকাসক্তি ও সমাজে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতাও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা উসকে দিচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোট ৫০টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যুও হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৪৫টি। এ চিত্র মোট অপরাধের খণ্ডাংশ বললেও অত্যুক্তি হবে না। ধর্ষকরা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। একজন মানুষ যদি অনবরত পর্নো দেখে তখন তার মনে সে বিষয়গুলোই ঘুরে বেড়ায়। এ সাইকোলজিক্যাল আবহ তখন সেই মানুষকে ধর্ষণে উসকে দেয়। ধর্ষণ বন্ধে দেশে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। পর্নোগ্রাফি বন্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা। ধর্ষকের বদলে যে সমাজ ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সে অপমূল্যবোধের উচ্ছেদ ঘটাতে হবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাও জরুরি।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর