বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

তিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত লাখ লাখ মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘বজ্রপাত’। তাতেও প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। সড়কে পাহাড় ধসে যোগাযোগ বিঘ্নিত পার্বত্য জেলাগুলোয়। ধসের আতঙ্কে ঘুম হারাম এলাকাবাসীর। সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যার ছোবলে মানুষের দুর্গতির অন্ত নেই। অবিরাম বৃষ্টিতে নদনদীতে পানি বাড়ায় বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। বান্দরবান, রাঙামাটি, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নেত্রকোনার অনেক স্থানে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। সিরাজগঞ্জে যমুনার চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জরুরি প্রয়োজন শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপথ্য। দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোতে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। কিন্তু ব্যাপক সংখ্যক বিপন্ন মানুষের দুর্দশা লাঘবে প্রশাসন বা সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। প্রবল পরাক্রমশালী প্রকৃতিকে প্রতিহত করার শক্তি মানুষের নেই। কিন্তু কিছু আগাম সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে। নদনদীর নাব্য বৃদ্ধি, খাল-বিল, জলাভূমি ও প্লাবন ভূমি রক্ষা এবং নতুন করে জলাধার সৃষ্টির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব। এটাই এক্ষেত্রে লাগসই চর্চা। শক্ত প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে নদী ভাঙনের গ্রাস থেকে শস্য ও সম্পদ নাশ ঠেকাতে হবে। অন্যদিকে বজ্র নিরোধে বৃক্ষরোপণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির বজ্রনিরোধ দণ্ড স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত না হলেও, কাগজে-কলমে এবং বাস্তব ক্ষেত্রেও এসব কর্মসূচি, প্রচেষ্টা-পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রয়েছে। শতভাগ পেশাদারি সততা, আন্তরিকতা এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতার মাধ্যমে সামর্থ্যরে সবটা দিয়ে এসবের দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। দেশে ফি বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এগুলো অত্যন্ত জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর