বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলতে হবে

মহিউদ্দিন খান মোহন

ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলতে হবে

ইদানীং সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা জাহিদ হাসানের একটি নাট্যাংশের ভিডিও ক্লিপ বেশ ঘুরছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জাহিদ হাসান তার দলবল নিয়ে একটি অভিজাত স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তিকে বলছে, ‘আঙ্কেল আমরা আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করব। আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারলে আপনাকে ফুলের মালা পরিয়ে আমরা শহরে ঘুরাব। আর না পারলে আপনি এখানে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন।’ এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। জাহিদ হাসানের প্রশ্নের জবাবে লোকটি জানায়, সে তার ছেলেকে নেওয়ার জন্য স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর ছেলে ওই স্কুলে পড়ে, যার মাসিক বেতন বারো হাজার টাকা। এরপর লোকটি জানায় সঙ্গে থাকা গাড়িটি তার নিজের, যে বাড়িতে সে থাকে সেটাও তার নিজের। সব শুনে জাহিদ হাসান লোকটিকে প্রশ্ন করে, ‘আচ্ছা আঙ্কেল, আপনি তো ইলেকট্রিসিটি অফিসে চাকরি করেন, আপনি তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার, তাই না?’ লোকটা তোঁতলাতে শুরু করে। জাহিদ হাসান তাঁর সঙ্গীকে বলে, ‘মুন্না, দেখত আঙ্কেলের ব্যাকগ্রাউন্ড কী? মুন্না নোটবুক দেখে বলে, ‘আঙ্কেল ইলেকট্রিসিটি অফিসের মিটার রিডার, বেতন পান ২৩৫০ টাকা স্কেলে।’ এবার জাহিদ হাসানের প্রশ্ন- ‘আপনি মাত্র ২৩৫০ টাকা স্কেলের বেতনের চাকরি করে ছেলেকে বারো হাজার টাকা দামের স্কুলে পড়ান, ঢাকায় বাড়ি করেছেন, গাড়ি কিনেছেন। আচ্ছা আঙ্কেল, কৌশলটা কী একটু বলবেন?’ লোকটা বলতে চাইল শ্বশুরবাড়ি থেকে পেয়েছি। জাহিদ হাসান তাঁর সঙ্গীদের নির্দেশ দিল, আঙ্কেলের শ্বশুরবাড়ির অবস্থা কী দেখ তো। অমনি লোকটি খপ করে জাহিদ হাসানের হাত ধরে কাঁচুমাচু হয়ে বলে, এত লোকের সামনে আমাকে অপমান করবেন না। জাহিদ হাসান লোকটিকে ধমক দিয়ে বলে, ‘কথা কম, একদম চুপ। ধর ব্যাটা, কানে ধর।’ এরপর জাহিদ হাসান উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে বলে, ‘আমরা এই লোকটাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, মাত্র ২৩৫০ টাকার বেতনের চাকরি করে সে কীভাবে তার ছেলেকে বারো হাজার টাকা দামের স্কুলে পড়ায়। সে সঠিক জবাব দিতে পারে নাই। তাই কানে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর আমরা আপনাদের সবার কাছে একই প্রশ্ন নিয়ে যাব। সঠিক জবাব না দিতে পারলে কানে ধরে দাঁড় করিয়ে রাখব। আজ উনি কাপড় পরে দাঁড়িয়ে আছেন, এরপর নেংটা করে দাঁড় করিয়ে রাখব। সবাই সাবধান হয়ে যান।’ তারপর জাহিদের দলটি ‘একটা দুইটা দুর্নীতিবাজ ধর, সকাল-বিকাল নেংটা কর’- স্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।

সময়োপযোগী এই নাট্যাংশটি ইচ্ছে করলে দুর্নীতি দমন কমিশন বা সরকার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রচারণা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। যারা এ নাট্যাংশটি তৈরি করেছেন, তারা ধন্যবাদার্হ এ জন্য যে, তারা আমাদের ‘প্রধান জাতীয় সমস্যার’ শেকড় ধরে টান দিয়েছেন। বাস্তবে হয়তো এভাবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো সম্ভব নয়, তবে দুর্নীতি নির্মূলের রূপক হিসেবে এটাকে ধরে নেওয়া যায়। সরকারি বিভিন্ন দফতরে দুদকের কর্মকর্তারা জাহিদ হাসানের মতো অভিযান চালালে এমন অনেক বিত্তবান মিটার রিডার কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্ধান পাবেন তা নিশ্চিত।

কয়েক বছর আগের ঘটনা। আমার বন্ধু সিলেটে জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির জিএম (বর্তমানে অবসরে) অলক কুমার মিত্র অবসর নেওয়ার আগে রাজধানীর নিকেতন আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে গিয়েছিল। বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী মাস থেকে সেখানে ওঠা পাকাপাকি করে অ্যাডভান্স দিয়ে যায়। দুই-তিন দিন পরে সেই কেয়ারটেকার ফোন করে তাকে বলে- স্যার আপনার অ্যাডভান্সের টাকা ফেরত নিয়ে যান। মালিক আপনার কাছে বাসাভাড়া দেবে না। বিস্মিত অলক জিজ্ঞেস করে- কেন, কী দোষ করলাম আমি? কেয়ারটেকার সে কথার জবাব না দিয়ে বলে, আপনি স্যার আপনার টাকা ফেরত নিয়ে যান। পরের সপ্তাহে সে সিলেট থেকে এসে গেল ওই বাড়িতে। কেয়ারটেকারকে অনেক চাপাচাপির পর বলল, স্যার আপনি যে অফিসের জিএম, ফ্ল্যাটের মালিক সেই অফিসের মিটার রিডার। অর্থাৎ তিতাস গ্যাসের মিটার রিডার। সে আরও জানায়, ওই বিল্ডিংয়ে তার আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া বাসাবো বা গোড়ানে রয়েছে বাড়ি। সব শুনে হতভম্ব হওয়া ছাড়া আমার বন্ধুর আর করার কিছুই ছিল না।

বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস কোম্পানির মিটার রিডার, বিল কালেক্টরদের এমন ধনাঢ্য বনে যাওয়ার কাহিনি নতুন নয়। কেউ কেউ তো তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি-দানবীর বনে গেছেন। সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন বেতনের টাকায় সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খান, তখন দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মচারীকে দেখা যায় বাড়ি-গাড়ি-জমির মালিক হয়ে যেতে। চোখের সামনে এসব ঘটতে থাকলেও কেউ তা দেখে না, বা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। ফলে দুর্নীতির রাক্ষুসে গাছটি পত্রপল্লবে বিস্তৃত হয়ে গোটা সমাজকে এক ভয়ংকর অন্ধকারে ঢেকে ফেলেছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, দুর্নীতি, অপকর্ম ও অপরাধ দমন করার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত, রাষ্ট্র যাদের ওপর ভরসা করে, তারাই আজ আকণ্ঠ নিমজ্জিত দুর্নীতির ডোবায়।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, দুষ্কৃতকারীদের দমন, অপরাধীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো পুলিশের দায়িত্ব। সেই বাহিনীর যিনি প্রধান হন, তার কাছে জনপ্রত্যাশা থাকে তিনি হবেন সততার প্রতিমূর্তি, দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এক্ষেত্রে নজিরবিহীন নজির স্থাপন করেছেন। দুর্নীতি-অসাধুতা তাকে শুধু স্পর্শই করেনি, একবারে গিলে খেয়েছে বলা যায়। পুলিশের মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানের পদে উপবিষ্ট থেকে তিনি যেভাবে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন, তার দৃষ্টান্ত অত্যন্ত বিরল। বাজারে তার সম্বন্ধে অর্থবিত্ত কামাই ছাড়া আরও অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রচারিত আছে। হয়তো কালক্রমে সেসব কথাও বাইরে বেরিয়ে আসবে। ভাবতে অবাক লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়টা সঙ্কুচিত হয়ে আসে, এমন একজন আপাদমস্তক অসৎ ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন। যে বাহিনীর প্রধান নিমজ্জিত থাকেন দুর্নীতির সাগরে, সে বাহিনীর অপরাপর সদস্যদের একই কর্মে প্রবৃত্ত হওয়া স্বাভাবিক নয় কি? চীনা প্রবাদে আছে- ‘মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে’। সাবেক আইজিপি বেনজীর তো পুলিশ বিভাগের মাথা ছিলেন। তার অপকর্মের প্রতিক্রিয়া যে গোটা বাহিনীতে পড়েনি তার নিশ্চয়তা কী? এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক বনে যাওয়ার খবর সংবাদমাধমে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবরে তোলপাড় হয়েছে সর্বত্র। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ বিভাগে আরও কত বেনজীর-আছাদুজ্জামান রয়েছে?

এদিকে পুলিশের সাবেক বড় বড় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় মিডিয়ার ওপর বেজায় গোস্বা হয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গত ২২ জুন পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি দেশের গণমাধ্যমকে এই বলে উপদেশ খয়রাত করেছে যে, কোনো কোনো গণমাধ্যম পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে। যা বাংলাদেশের পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্য বলে তারা মনে করছে। সংগঠনটির কর্তাব্যক্তিরা পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণেরও অনুরোধ জানিয়েছে। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের এই বিবৃতি সর্বত্র ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলো এই বিবৃতিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি, দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি সমর্থন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পুলিশের সঙ্গে গণমাধমের কোনো শত্রুতা আছে বলে মনে হয় না। তাহলে তারা কেন পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করতে যাবে? অবস্থাটা এমন যে, তারা দুর্নীতি করতে পারবে, তবে সে কথা বলা যাবে না। এ যেন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা’র মতো। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে আসা খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন কি এটাকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর বলবে?

এদিকে মতিউরের পর এনবিআরের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দুদকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফয়সাল ও তার স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ‘ফ্রিজ’ করার আদেশ দিয়েছেন। একের পর এক এনবিআরের বড় কর্তাদের অবৈধ পথে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন সচেতন ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, সরকারি রাজস্ব আদায়ের এ প্রতিষ্ঠানটি এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানকার কর্মকর্তারা এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগার পূর্ণ করার পরিবর্তে নিজেদের তহবিল সমৃদ্ধ করার তৎপরতায় লিপ্ত বলেই মনে হচ্ছে।

এদিকে রাজস্বের মতিউরের প্রথমা স্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীর ঔদ্ধত্য সবাইকে বিস্মিত করেছে। ২৭ জুন আশুগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় তার সমর্থকদের সঙ্গে এক গোপন বৈঠকে দম্ভ করে বলেছেন, ‘ঢাকার জাতীয় পত্রিকা ও টিভির বড় বড় সাংবাদিকসহ নরসিংদীর সাংবাদিকদের কিনেই রায়পুরা উপজেলা পরিষদে এসেছি। তারা কিছু করতে পারবে না। সব থেমে যাবে।’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ জুন, ২০২৪)। তার এ উক্তিকে ‘একে চুরি, তার ওপর সিনাজুরি’ বা ‘চোরের বউর বড় গলা’ বলেই অভিহিত করা যায়। কতটা দাম্ভিক হলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজের স্ত্রী এমন ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে, তা ভেবে দেখার বিষয়। অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না, দুর্নীতিবাজ মতিউরের স্ত্রীর খুঁটির জোরটা কোথায়। উপরন্তু লাকীর মতো একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার খবর জনমনে গভীর শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি রোধের উপায় কি তা ভেবে সবাই উদ্বিগ্ন। কয়েক বছর আগে ইউটিউবে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখেছিলাম। সম্ভবত ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জনগণ এক দুর্নীতিবাজকে ধরে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করছে। বোধকরি সময় এসেছে আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজদের ধরে ধরে ডাস্টবিনে (জেলখানা) নিক্ষেপ করার। কেননা, দুর্নীতিবাজরা সমাজ ও রাষ্ট্রের আবর্জনা, বর্জ্য। যত তাড়াতাড়ি এদেরকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা যায় ততই মঙ্গল। তবে সেজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আর তা দেখাতে হবে সরকারকেই। সরকার কঠোর অবস্থান নিলে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় না নামলেও, বল্গাহীন থাকবে না। অন্যথায়, নিকষকালো এক অন্ধকার ভবিষ্যৎ যে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর