শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিক্ষক আন্দোলন

চাই সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ

শিক্ষক ধর্মঘটে বন্ধ হয়ে আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বর্ঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার অধিকার থেকে। শিক্ষকদের বক্তব্য- জীবিকা এবং মর্যাদার প্রশ্নে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শিক্ষকদের কি আন্দোলনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাবিদদের বক্তব্য, সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি মহৎ পরিকল্পনা। এ উদ্যোগকে কী কারণে, কারা, কী যুক্তিতে জটিল করে তুললেন তা রহস্যজনক। এ স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের বৈষম্যের মধ্যে ফেলে তাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত হানা হয়েছে। শিক্ষকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হচ্ছে- যা তাদের মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অচলাবস্থার নিরসন হওয়া জরুরি। বিষয়টি আমলাদের হাতে ছেড়ে দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলেই সমস্যার গ্রন্থি মোচন সম্ভব হবে। ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছিল শিক্ষকদের বয়স বাড়লে অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা বাড়ে। অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবসরের সময় বৃদ্ধি করে ৬৫ করা হয়। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির স্বার্থে শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া দরকার। উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা অনেক অনেক বেশি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট সিটিজেন দরকার। স্মার্ট সিটিজেন আমলারা না, তৈরি করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের উপেক্ষা করে দেশ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। পেনশন স্কিম নিয়ে পাণ্ডিত্য দেখাতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা সমাজের মূল্যবোধে আঘাত করেছেন। আমাদের ধারণা, সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতের নির্দেশের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যখন অসন্তোষ চলছে, তখন পরিকল্পিতভাবে শিক্ষকদের ধর্মঘটের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যার সমাধানে সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সিংহভাগ শিক্ষকের আস্থা রয়েছে। ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা ও অসন্তোষ থামাতে যা অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর