শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাগরে জলদস্যুতা

ওদের গডফাদারদের ধরুন

সাগরে ঝড়ের চেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে জলদস্যুরা। এদের হানায় অনিরাপদ হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। যেন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বিস্তীর্ণ জলসীমা। আধুনিক নৌযান ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা সুবিস্তৃত উপকূলসহ গভীর সাগরে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। জেলে নৌকা ও মাছধরার ট্রলারে হামলা, খুন-খারাবির ঘটনা ঘটাচ্ছে। জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। দেশি-বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ পর্যন্ত এদের হামলার শিকার হচ্ছে। জলদস্যু-দৌরাত্ম্যের ভয়ংকর খবর বেরিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনে। দেখা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে চলছে ২০ দস্যু বাহিনীর রাজত্ব। তারা ট্রলার থেকে মাছ লুট ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে; গুম-খুনের সঙ্গেও জড়িত। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব বাহিনীকে লালনপালন করেন কথিত ৭০ বড়ভাই। যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। অর্থাৎ দুর্বৃত্তদের শেকড় সমাজের বেশ গভীরে প্রোথিত। এর নেতিবাচক দিকটা নিয়ে ভাবতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। জলদস্যু দমন না হলে দেশের বন্দরে আসতে পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ নিরুৎসাহিত হবে। বিরূপ প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর তৎপরতা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মতো বিশাল জলরাশিতে দেশি-বিদেশি জাহাজ ও মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীর শক্তি, সক্ষমতা ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। কঠিন হাতে দমন করতে হবে গডফাদারদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর