সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুর্নীতিবাজরা যেন ছাড় না পায়

আলম রায়হান

দুর্নীতিবাজরা যেন ছাড় না পায়

যে কোনো সমাজ ও দেশে দুর্নীতি আছে কায়ার সঙ্গে ছায়ার মতো। আর সীমা ছাড়ালে এটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ছায়া তখন কায়াকেই বিনাশ করে দেয়। বাংলাদেশ এ সমস্যার কবলে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতির সংস্কৃতি সমাজকে ভিতর থেকে ক্ষয় করে দিচ্ছে। বিপুল জনসংখ্যা, সীমিত সম্পদ, প্রয়োজনীয় নৈতিক শিক্ষার অভাব, নিজ স্বার্থকে অতি প্রাধান্য দেওয়ার উগ্র প্রবণতা, দুর্বল জবাবদিহিতা- বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এ দেশ যেন দুর্নীতির উর্বর জমিন। রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী তথা সমাজের যারা অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে বিবেচিত তাদের বৃহৎ অংশ নৈতিকতাহীন আদর্শচ্যুত এক কলুষিত ধারার কাছে জিম্মি বলে মনে করা হয়। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনযাত্রার প্রতিটি স্তরেই দুর্নীতি জেঁকে বসে আছে। আর রাষ্ট্রের দ্বারা দুর্নীতি প্রশমিত হওয়ার পরিবর্তে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার ফল হয় ভয়াবহ। সামগ্রিক অবস্থায় দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতির কাছে এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছে যে, একে অনেকটা কপালের লিখন হিসেবে মেনে নিয়েছে। ক্রমান্বয়ে দুর্নীতির ডালপালা ছড়িয়ে বিশাল বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যার শিকড় বহু গভীরে বিস্তৃত এবং দৃঢ়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশে বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দুটি সামরিক শাসনের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। সে সময়ে দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় পেয়েছে। যার পালে জোর হাওয়া অব্যাহত ছিল অন্তত ২১ বছর। এরপরও এ ধারার অবসান হয়েছে- এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্মরণ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের প্রথম মেয়াদে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা খুব একটা কাজে এসেছে, এমনটা জোর দিয়ে বলা যাবে না। দুর্নীতির বেনো জলের বিস্তার অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। আর একেই ধরে নেওয়া হলো নিয়তি বলে। কিন্তু এবারের কোরবানির প্রাক্কালে ছাগলকান্ডে দুর্নীতির সাজানো বাগানে প্রচন্ড আঘাত লাগে। ছাগলকান্ডের পর দুর্নীতিবাজ আমলা-কামলা-পাইকপেয়াদা-নেতা-পাতা, সবাই আতঙ্কে আছেন। কখন ধরা পড়েন সেই ভয়ে তটস্থ দুর্নীতিবাজরা। এদের মধ্যে অন্তত ৭০ ভাগ কর্মকর্তা অযোগ্য। এ অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে কতটা মুক্ত করা যাবে তা কিন্তু এখনো একটি বড় প্রশ্ন হয়েই আছে। একটি কথা বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, অযোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা তুলনামূলক বিচারে অধিক থাকে। আর এরা তৈলমর্দন কর্মে বেশ পটু। তবু আশার কথা হচ্ছে, দুর্নীতি প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী হয়তো কঠোর অবস্থানে যাবেন। এদিকে কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জেগেছে দুদক। যদিও এই দুদকের কাছ থেকেই ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির শিরোমণি মতিউর রহমান ‘তুলসী পাতা’ সনদ পেয়েছেন। এদিকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত বেনজীর আহমেদ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বক্তা ছিলেন। কেবল বেনজীর নন, সবার মুখেই দুর্নীতিবিরোধী খই ফোটে অথবা পপকর্ন। সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কে না বলে? ধর্ম, নীতি কথা, রাজনীতি থেকে শুরু করে সবখানে দুর্নীতিবিরোধী কথামালা। সক্ষম-অক্ষম সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলে। সঙ্গে এ অপকর্মটি সমানে চলে। কোথায় না আছে দুর্নীতি! দুর্নীতির আগ্রাসনে মানুষ যখন হতাশার চরমে তখন ২৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই, যারাই দুর্নীতি করবে আমরা ধরব।’ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের দুই দিন পর ১ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সম্ভবত কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। আলামত তাই বলে। যার কিছুটা প্রতিফলন ঘটেছে ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের বক্তব্য ও উচ্চারণের দৃঢ়তায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না! দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।’ চলমান ঘটনা প্রবাহের আলোকে ৪ জুলাই সচিব সভাকেও বিশেষ গুরুত্ববহ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ সভায় আসলে দুর্নীতির বিষয়ে সচিবদের প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা কনভে করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়টি এক দিন আগে প্রকারান্তরে বাজারে ছেড়েছেন সরকারের মুখপাত্র সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘একটা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিব যদি সৎ হন তাহলে ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকতে পারে না।’ এ প্রসঙ্গে তিনি রাজনীতিকদেরও টেনেছেন।

এরপরও প্রশ্ন উঠতেই পারে, বক্তব্য আর তোড়জোড়ে কী আসে যায়? এ আর নতুন কী! এ ধরনের কথা তো হরহামেশাই বলা হয়, হয়েছে। এমনকি টানা চারবারের ক্ষমতায় আরোহণের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোর দিয়েই বলেছে। যেমন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে- ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা।’ ২০১৪ সালে বলা হয়েছে- ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ।’ ২০১৮ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হয়েছে- ‘জিরো টলারেন্স’ এবং এই সেদিন চলতি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল- ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ অব্যাহত’ রাখার ঘোষণা।

অবশ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা নতুন কিছু নয়, আদিকাল থেকেই বলা হচ্ছে। বলা হয়েছে সব ধর্মেই। ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা আছে। ইসলাম ধর্মে অবৈধ উপার্জনকে হারাম বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোরআন এবং হাদিসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোরআনের একাধিক সুরায় আল্লাহ অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন না করার  নির্দেশ দিয়েছেন। যা মেনে চলা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। কোরআনে সুরা নিসার ২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তোমাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।’ একই বিষয়ে বলা হয়েছে সুরা বাকারার ১৮৮ নম্বর আয়াতে। সুরা বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘হে মানবকুল! তোমরা পৃথিবীতে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভোগ করো।’ হিন্দু ধর্মে অবৈধ আয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেদের অন্যতম জ্ঞানকান্ডউপনিষদের প্রথম মন্ত্রেই সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে- ‘কারও সম্পদে লোভ করা যাবে না এবং ত্যাগের সঙ্গে ভোগ করতে হবে।’ বেদ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের অন্যান্য গ্রন্থেও এ বিষয়ে নানান নির্দেশনা, এমনকি শাস্তির ব্যাপারেও বলা আছে। বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট ধর্মেও অবৈধ আয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মে যে পঞ্চশীল বা পাঁচটি অবশ্য পালনীয় নীতির কথা বলা হয়েছে সেগুলোর একটি হচ্ছে- ‘অদত্ত বস্তু গ্রহণ থেকে বিরত থাকা’। অর্থাৎ যা প্রাপ্য নয় বা যা অর্জন করা হয়নি, সেটি নেওয়া বা ভোগ করা যাবে না। যেসব কাজ অবৈধ বা যাতে কোনো মানুষ বা অন্যান্য জীবের ক্ষতি হয়, সেগুলোর সবই বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খ্রিস্ট ধর্মে অবৈধ উপার্জনকে সমর্থন করে না। বাইবেলের আদি পুস্তকের বরাত দিয়ে পন্ডিতরা বলেছেন, ঘুষের বিষয়ে সতর্ক করে সৃষ্টিকর্তা আদেশ দিয়েছেন, ‘এবং তুমি কোনো উপহার গ্রহণ করবে না। কারণ উপহার জ্ঞানীদের অন্ধ করে দেয়।’ এটাও বলা হয়েছে যে, অর্থ-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা অনেক অকল্যাণের মূল। কিন্তু এসব ধর্ম কথার প্রভাব কতটুকু? প্রবচনই তো আছে, চোরা শোনে না ধর্মের কাহিনি! বিরাজমান বাস্তবতাও তাই।

ধর্মকথা না শুনলেও ধর্মের কল বাতাসে নড়ে- প্রবচনকে সত্য করে এবার তা নেড়ে দিল একটি ছাগল। ছাগলকান্ডের আগ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতি তেমন সোচ্চার হয়নি। ওই একটি গান আছে না- ‘একটি গন্ধমের লাগিয়া...।’ তেমনই এখন পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে তা একটি ছাগলের লাগিয়া...। অসংখ্য ছাগলের ভিড়ে এবার এমন এক মহাছাগলের আবির্ভাব হয়েছে যা কি না ক্রেতাকে খেয়েছে, ক্রেতার বাবাকে খেয়েছে, মালিককে খেয়েছে। হয়তো সেই প্রবচনই আবার প্রমাণিত হলো, ছাগলে কি না খায়! তবে এ ছাগলের কাছে নিশ্চয়ই দুর্নীতিবিরোধী আমজনতা ঋণী। দুর্নীতির যে জগদ্দল পাথরে রাষ্ট্রের সংস্থাগুলো আঘাত হানতে পারেনি তা করে দেখিয়েছে একটি অতি তুচ্ছ ছাগল! আর বেনজীরকে দিয়ে যার ভীরু সূচনা করেছে সংবাদপত্র। সংবাদপত্র এবং অন্যান্য মাধ্যমে সমানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা অব্যাহত আছে। অথচ এ সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ছাগলেরও অধম হিসেবে চিহ্নিত করার একটি প্রবণতা আছে দুর্নীতিবাজদের মধ্যে।

ছাগলকান্ডের পর কিছু ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। অবশ্য কেউ বলতে পারেন- আরে সমুদ্রের ঢেউই থেমে যায়! আর প্রকাশিত ঘটনাগুলো তো দুর্নীতির সাগরে সামান্য বুদবুদও নয়। মানে, কিছুদিন পরই দুর্নীতিবিরোধী তোড়জোড় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার তালগাছের মতো হয়ে যাবে। আবার তালগাছের সঙ্গে আমাদের দেশের দুর্নীতির ধরনের মৌলিক মিলও আছে। এ মিল একেবারে মূলে। তালগাছ গুচ্ছ মূলে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাদের দেশেও চলে গুচ্ছ দুর্নীতি। গুচ্ছ মূলের কারণে তালগাছ উপড়ানো যেমন সহজ নয়, তেমনই গুচ্ছ দুর্নীতির মূলোৎপাটনও হয়তো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং ভিতরের খবর যতটা জানা যায় তাতে কেউ কেউ মনে করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবার দুর্নীতির মূল উৎপাটন করেই ছাড়বেন। যেমন তিনি অপরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন, পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। ইতিহাস বলে, কথায় কথায় উদাহরণ টানা সিঙ্গাপুরের নব্বই শতাংশ মানুষ দুর্নীতিবাজ ছিল। সেখান থেকে যদি দেশটিকে টেনে তোলা যায় তাহলে বাংলাদেশের বেলায় তা সম্ভব হবে না কেন? লি কুয়ান ইউ যা পেরেছেন তা নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও পারবেন- এমনটি আশা করেন কেউ কেউ। আর দুর্নীতির অচলায়তনে প্রচন্ড আঘাত হানাই হয়তো হতে পারে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান কাজ। এটি তাঁর অসমাপ্ত লড়াইয়ের মধ্যে অন্যতম বলে কেউ কেউ বিবেচনা করেন। আর এটি না করা গেলে অন্য সব সাফল্য কেবল ম্লান নয়, নস্যাৎ হয়ে যওয়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়। আর বলাবাহুল্য, এ কাজ ধর্ম কথা বা নীতি কথা দিয়ে যেমন হওয়ার নয়, তেমনই হওয়ার নয় রাজনৈতিক গলাবাজি দিয়ে। এখানে সামাজিক দায়বদ্ধতার আওয়াজ দিয়েও এখন আর কোনো ফায়দা হবে বলে মনে হয় না। ব্যবস্থা হতে হবে কঠোর ও দৃশ্যমান। হয়তো নির্মম হওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে, নিদেনপক্ষে নির্মোহ হওয়া প্রয়োজন। তবে তরিকা যাই হোক, চলমান ফ্রিস্টাইল দুর্নীতি কিন্তু আর চলতে দেওয়া যায় না।  এ প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন- ‘ফাস্ট মিলিয়ন ইজ ডার্টি মিলিয়ন’- ধনবাদী সমাজের মতলবি এ আওয়াজের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশ কিন্তু বহু আগেই বেরিয়ে এসেছে। এরপরও কেন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে, কেনইবা কর না দিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যরা বিলাসী গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন- তা অনেকেরই মগজে ধরে না। যেমন মগজে ধরে জুলুমের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য হিজড়াদের সঙ্গে খোদ রাজধানীর বনশ্রীবাসীর সমঝোতা চুক্তি করার বিষয়টি!

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

সর্বশেষ খবর