সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর

উন্নয়নের গতি জোরদার করবে

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছবেন। তাঁর চীন সফরকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে দুই দেশের পক্ষ থেকে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিও নিবদ্ধ রয়েছে এই সফরের দিকে। বাংলাদেশের ভূরাজনীতি, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে এবারের সফরকে ‘বহুমাত্রিক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কমপক্ষে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে ঋণের ঘোষণা আসতে পারে চীনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে। পাশাপাশি এ সফরে বেইজিংয়ে একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনেরও আয়োজন করবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের বৌদ্ধ পন্ডিত অতীশ দীপঙ্করের মাধ্যমে যা আত্মিক সম্পর্কে পরিণত হয়। চীনে মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধের বাণী প্রচার করেন তিনি। তার জ্ঞানালোকে আলোকিত হয়েছে মহামতি কনফুসিয়াসের দেশ। বাংলাদেশ ও চীনে ইসলাম প্রচারও হয়েছে একই সময়ে। রোমান ও আরবরা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করত বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে। প্রাচীনকালের সেই বাণিজ্যিক যোগাযোগ মহিরুহ আকার ধারণ করেছে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রাখিবন্ধন ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের পাশাপাশি চীনকে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই অর্জিত হয়েছে এ সাফল্য। আমরা আশা করব বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর অবদান রাখবে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনের সুসম্পর্কের যোগসূত্র হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বিশ্বশান্তির জন্য যা সহায়ক হবে।

সর্বশেষ খবর