মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিনিয়োগ খরা

কর্মসংস্থানেও শঙ্কা সৃষ্টি করছে

দেশে বিনিয়োগ খরা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কমছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে বেকারত্ব। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। ১৯৯৬ সালের পর বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাবস্থায়ও স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। মুদ্রাস্ফীতি ছিল নিয়ন্ত্রণে। করোনাকালে সারা বিশ্ব যখন ধুঁকেছে তখনো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মুখ দেখা ছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশের জন্য বিস্ময়। কিন্তু করোনাঘাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনীতিতে বিসংবাদ ডেকে এনেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। শিক্ষিত বেকারের হার উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কার্ডের হিসাবে, ২০২৩ সালে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে আশঙ্কাজনকহারে। ওই সময়ে বিনিয়োগ এসেছে ৩০০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ কম। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১ হাজার ৭০২ কোটি ডলার। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকার। ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সরকারি এবং বাকি ১৯টি বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ৩৯টি অঞ্চলের ভূমি অধিগ্রহণ চলছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফেনীসহ মোট ১১টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এসব অঞ্চলে বিনিয়োগে নানা সুবিধাও দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিনিয়োগ খরায় বাড়ছে না কর্মসংস্থানের সুযোগ। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তিন বছরের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সে প্রত্যাশায় ছাই ঢেলেছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে আমলাতান্ত্রিকতার ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে যার কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর