শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চীনা বিনিয়োগ

বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীন-বাংলাদেশ হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। চীন এ মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কয়েক বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হবে এ দেশটি। বাংলাদেশ এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশ। মুক্তিযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হওয়ার পরও রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকে উড়াল দেওয়ার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এ মুহূর্তে বিশ্বের দুইশর বেশি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৩তম অর্থনীতি। আর ৪-৫ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের অর্থনীতিকেও অতিক্রম করবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পাড়ের এ দেশ। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাঝের দেশ বাংলাদেশ। প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে বিনিয়োগ মানেই বিশাল বাজারের সুবিধা হাতে পাওয়া। বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে চীনা ব্যবসায়ীরা যে সাড়া দিয়েছেন তা মনে রাখার মতো। এ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। চুক্তির অধীনে মোট ৪৯ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্প, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ, সৌরবিদ্যুৎ, ফিনটেক এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানিগুলো। কৌশলগত অংশীদারিমূলক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে বাংলাদেশের দেশবন্ধু ও চেমটেক্স গ্রুপের সঙ্গে কাজ করবে চীনা কোম্পানি চায়না কেমিক্যাল সিএনসিসি। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে প্রায় ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানিটি। চায়নিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে বিনিয়োগ করতে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন এবং নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ চুক্তি সই করেছে। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়েও তা অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর