শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সফর

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উচ্চতায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে সফল ও সার্থক বলে মনে হচ্ছে। বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনের ভূমিকা অব্যাহত রাখার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ঘোষিত হয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যবসায়ী পর্যায়ে বড় ধরনের চুক্তি ও সমঝোতার পর সরকারি পর্যায়েও মিলেছে অভিন্ন সুখবর। চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ২২টি সমঝোতা স্মারক, সাতটি প্রকল্প ঘোষণাপত্র এবং ১ বিলিয়ন ইউয়ান অর্থনৈতিক সহযোগিতার ঘোষণা এসেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অভূতপূর্ব বলে মন্তব্য করে তাঁর দেশের সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের জন্য বরাদ্দ করা ৮০০ একর জমিসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি ভিলেজগুলোয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশ থেকে পাট ও চামড়াজাত, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আহ্বান জানান। উভয় ক্ষেত্রে চীনের প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক সাড়া দেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দৃঢ় সহায়তার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য সুদমুক্ত ঋণেরও ঘোষণা দিয়েছে চীন। বেইজিংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানোর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার প্রমাণ রাখা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারি থেকে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারির সূচনা করেছে এ সফর। দুই বড় প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার কৃতিত্ব যে বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি- তা আবারও প্রমাণিত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে। কোনোরকম রাখঢাক না রেখেই বাংলাদেশ স্পষ্ট করেছে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাজনৈতিক। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকেও বাংলাদেশ পেতে চায় সুবন্ধু হিসেবে। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক রক্ষায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ। জাতীয় অগ্রগতির মূলসূত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এ কৌশল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর