শিরোনাম
শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম

বন্ধের উদ্যোগ নিন

যে বয়সে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে তাদের টানতে হচ্ছে সংসারের ঘানি। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রমমুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালে। পাঁচ বছর মেয়াদি সে প্রকল্পের সাড়ে তিন বছর ইতোমধ্যে কেটে গেছে। আগামী দেড় বছরে দেশকে শিশুশ্রমমুক্ত করা দূরের কথা, পরিমাণ কমিয়ে আনা যাবে কি না সংশয় রয়েছে। স্মর্তব্য, ট্যানারি, পরিবহন ও অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্যসহ ৪৩ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে দেশের সাড়ে ১০ লাখ শিশু। শিশুশ্রমমুক্ত দেশ গড়ার প্রকল্পের আওতায় গত সাড়ে তিন বছরে ২ লাখ শিশুকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। নতুন করে আরও ১ লাখ শিশুকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি হিসাবে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জন। তারা ৪৩ ধরনের কাজে জড়িত। এসব শিশুর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৫ জন ছেলে শিশু আর ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। ঝুঁকি নেই এমন কাজে নিয়োজিত ৭ লাখ ৮ হাজার শিশু। এসবের বাইরেও একটি বড় অংশ কাজ করে গৃহকর্মী হিসেবে। এদের সবাই শিক্ষার সুযোগ ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে ২০২১ সালে যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় তার আওতায় ইতোমধ্যে ট্যানারি, জাহাজ এবং সিরামিকসহ মোট আটটি খাত শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়টি এ-সংক্রান্ত প্রকল্প তৈরির ওপর নির্ভরশীল এমনটি ভাবলে বোকার স্বর্গে বাস করা হবে। এ জন্য সরকারকে সব কিছুর আগে দারিদ্র্য মোচনে উদ্যোগী হতে হবে। বহু বিবাহ এবং দুটির বেশি সন্তান নেওয়া নিরুৎসাহিত করাও জরুরি। বন্ধ করতে হবে বাল্যবিবাহ। প্রসূতি মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। বিশেষত দারিদ্র্য মোচনে সাফল্য অর্জিত হলে শিশুশ্রম বন্ধে প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়া যাবে। তার আগে শিশুদের যাতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর