শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুর্নীতি রোখার অঙ্গীকার

এ লড়াইয়ে জিততে হবে

প্রধানমন্ত্রী সাফ সাফ বলে দিয়েছেন, দুর্নীতি যেখানেই হোক, যেই করুক তাকে ধরা হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে। অনেকে তাকে বলেছেন, এটা করলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। তবে তিনি তা মনে করেন না। যারা অপরাধ করছে, দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে; তাদের ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না। সেখানে কে আপন, কে পর-সেটা বিবেচনায় না এনে যারা এ ধরনের অপরাধে জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কোনো পরীক্ষা নয়, হাওয়া ভবন থেকে পাঠানো তালিকায় বিসিএসে চাকরি হতো। ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সালে। বিএনপির আমলে সেই সময়ে যত পরীক্ষা হতো, চাকরি হতো, সব হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো। ঢাকা কলেজে একটা বিশেষ কামরা রাখা হতো। সেখানে বসে তাদের লোক পরীক্ষা দিত। তাদেরই চাকরি হতো। প্রশ্নফাঁস করে নিজেদের লোককে চাকরি দেওয়াটা সেই জিয়ার আমল থেকে শুরু। খালেদার আমলেও চলেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। সদ্যসমাপ্ত চীন সফর সম্পর্কে রবিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার যে অঙ্গীকারবদ্ধ তাও স্পষ্ট হয়েছে সরকারপ্রধানের বক্তব্যে। চীন সফর সফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সফরকালে ২১টি সমঝোতা স্মারক সই ও আরও ৭টি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। এর আগে ভারত সফরের সময় দেশ বিক্রির অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, চীন কিছুই দেয়নি। এসব সমালোচকদের উদ্দেশে করুণাই করা যায়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ের যে অঙ্গীকার করেছেন, তাতে দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশার কথাই ফুটে উঠেছে। আমাদের বিশ্বাস, এ লড়াইয়ে জিততে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে।

সর্বশেষ খবর