মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ট্রাম্পের প্রতি গুলিবর্ষণ

বিশ্বজুড়ে কাপুরোষিত ঘটনার নিন্দা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলিবর্ষণ হয়েছে এক নির্বাচনি সমাবেশে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে যে গুলিটি ছোড়া হয় তা তার ডান কানের ওপরের অংশ ভেদ করে চলে যায়। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তিনি। একটু এদিক-সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারত মহাবিপর্যয়। ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বন্দুকধারী গুলি ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট ও নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ঘিরে ফেলেন। তবে তার আগেই কানে হাত চাপা দিয়ে মঞ্চে বসে পড়েন ট্রাম্প। প্রায় মিনিটখানেক পর তিনি উঠে দাঁড়ান। এ সময় ‘ফাইট ফাইট ফাইট’ ধ্বনি তুলে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমেরিকাকে আবারও মহান করে তুলুন।’ হামলার পরপরই দ্রুত গাড়িতে করে ট্রাম্পকে হাসপাতালে নিয়ে যান সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কান ফুটো হওয়ায় বেশ রক্তপাত হলেও আঘাত গুরুতর নয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, এটা অবিশ্বাস্য, দেশে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়া যে সমর্থক গুলিতে নিহত হয়েছেন, তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ট্রাম্প। হামলার পরপরই ফোন করে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলেন। পরে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, আমেরিকাতে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। স্বভাবতই, ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা তার জনপ্রিয়তাকে আরও তুঙ্গে তুলবে এমনটিই মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের পক্ষ থেকে কাপুরোষিত ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। ট্রাম্প এবং তার দলও এ জনজিজ্ঞাসার দায় এড়াতে পারেন না। কারণ তারা নাগরিকদের বন্দুক রাখার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাদ সাধার বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে তা আমাদের জন্যও শিক্ষণীয়।

সর্বশেষ খবর