শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক রক্তপাত

দাবি মেনে শিক্ষার্থীদের আস্থায় আনুন

কোটা সংস্কারের প্রশ্নে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী বা সরকার কোনো পক্ষের মতপার্থক্য নেই। তারপরও এ পর্যন্ত অন্তত ৩০টির বেশি প্রাণ ঝরেছে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে। তৃতীয় পক্ষের কালো হাত, একের পর এক ট্র্যাজেডির উদ্ভব ঘটাচ্ছে। যা কোনোভাবেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারও কাছে প্রত্যাশিত নয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি-কাঁদানে গ্যাসের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন, আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক। নিহতের মধ্যে দ্জুন সাংবাদিকও রয়েছেন। আহত সাংবাদিকের সংখ্যাও অনেক। যারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হতাহত হয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সম্মানজনক সমাধানের বদলে অযথা সময়ক্ষেপণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। দেরিতে হলেও আশা জাগিয়ে সরকার ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে আন্দোলনকারীদের আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, তাদের হতাশ হতে হবে না। সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আগামীকাল রবিবার আদালতে যাবেন আপিল শুনানির আবেদন নিয়ে। শিক্ষার্থীরা আলোচনার প্রস্তাবে এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে সাড়া না দিলেও এটিকে সমস্যা না ভেবেই সরকারকে এগোতে হবে। আইনগত বাধা না থাকলে আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষা না করে কোটা সংস্কারের গ্রহণযোগ্য ঘোষণা দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে সারা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। জাতি যে কোনো মূল্যে এই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির অবসান চায়। শিক্ষাঙ্গনে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায়- পঁচাত্তরের পর সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক দলের ভাড়াটে ছাত্র সংগঠন পোষার যে অপসংস্কৃতি চালু হয়েছিল, তা বাদ দিতে হবে। সভ্য দেশগুলোতে কোথাও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন পোষার নজির নেই। সংঘাত ও সহিংসতার বলি হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সমবেদনা। সবার সুবুদ্ধি বিদ্যমান সংকটের ইতি ঘটাবে- তেমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর