বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কলকারখানা চালু হোক

স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনুন

প্রধানমন্ত্রী দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সহিংসতা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। কলকারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করার পরিবেশ সৃষ্টিতে ইন্টারনেট, ব্যাংক, বন্দর চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী নয়, সন্ত্রাস ও সহিংসতায় জড়িত ছিল বাইরের অপশক্তি। মু্িক্তযুদ্ধের বিরোধিতাকারী একটি দলকে জঙ্গি সংগঠন বলে অভিহিত করে সামরিক শাসকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি দল সম্পর্কে বলেছেন, তাদের চেহারা স্পষ্ট হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে ঢুকে তারাও সহিংসতা করেছে। দেশের এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় খুবই যৌক্তিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। মতবিনিময় সভায় সহিংসতার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে দায়ী নয়, এ মূল্যায়নও খুবই যথার্থ। আমরা এ কলামে আগেও লিখেছি কোটা সংস্কারের আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়নি। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে যে শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা প্রশংসাযোগ্য। দেশবাসীর সমর্থনধন্য এ আন্দোলনের আড়ালে ধ্বংস ও অগ্নিসন্ত্রাসের চিহ্নিত কুশীলবরা মাঠে নামায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। এমনকি সহিংসতা রোধে কারফিউ জারির পর যারা সরকারি স্থাপনায় হামলা ও তাণ্ডব চালানোর সময় হতাহত হয়েছে তাদের একজনও শিক্ষার্থী নয়। জ্বালাও-পোড়াও আগুনসন্ত্রাসে দেশ ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা সরকারের কর্তব্য। দ্রুত ব্যবসাবাণিজ্য ও উৎপাদন ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রেও সরকারকে যত্নবান হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর