বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়

আদালতের রায়ে সরকারি চাকরিতে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ ৫৬ থেকে কমে ৭ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। এখন ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীরা এ যুগান্তকারী রায় মেনে নিয়েছেন। দায়িত্বশীল মহল আশা করছে- শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে সরকার। কোটা আন্দোলনে যেসব সাধারণ শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন- তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস বাস্তবায়িত হবে এমনটিও প্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়ে থাকলে সেগুলোও সুনজরে নিয়ে দ্রুত দায়মুক্তি দেওয়া উচিত। বিশেষত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে অভিযান পরিচালনা করছে, তাতে যেন কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নাজেহাল না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। ক্যাম্পাসে বা হলে শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন- তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। কারণ এটা এখন পরিষ্কার যে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে পড়েছিল বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুচক্রী মহল। তারাই ছদ্ম আবরণে কোমলমতি তরুণদের সামনে রেখে দেশ ও সরকারবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা পানি ঘোলা করে মাছ ধরার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কূটকৌশলের বলি হয়েছেন শতাধিক তাজা প্রাণ। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিপুল ক্ষতি হয়েছে রাষ্ট্রের। ব্যবসা এবং শিল্প-বাণিজ্যের যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তা দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির ওপর বড় আঘাত। তবু আমরা আশ্বস্ত যে, আরও বড় ক্ষতির আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে সরকার। এখন পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশা করি। আর কোনো অজুহাতেই নাশকতা, নৈরাজ্য, অরাজকতা কাম্য নয়। রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর