রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

আহতদের চিকিৎসা

মানবিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন সামনে রেখে সৃষ্ট সহিংসতায় আহতদের অবস্থা দেখার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সে সময় প্রতিশ্রুতি দেন সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমতনির্বিশেষে আহতদের চিকিৎসা ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার। সহিংসতায় যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিপুলসংখ্যক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী বেদনাদায়ক বলে অভিহিত করেন। বলেন, তিনি বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছেন। জানেন মানুষের স্বজন হারানোর ব্যথা কী, যারা নৃশংসতা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। এদের মনুষ্যত্ববোধ নেই, দেশের প্রতি মায়া-মমতা ও দায়িত্ববোধ নেই। মানুষকে এরা মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, এর মধ্য দিয়ে তাদের অর্জনটা কী। তাদের আচরণে ‘সেই ’৭১ সালের কথা মনে পড়ে। ২০১৩-তে ৩ হাজার ৮০০ মানুষকে পোড়ানো, মেরে ফেলা হয়, আবার ২০১৪-তেও সেই একই কাজ করা হয়েছে। ২০২৩-এর ২৮ অক্টোবরে তারা পুলিশকে যেভাবে মেরেছে, এবার পুলিশকে শুধু মারাই হয়নি, মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ কেমন বর্বরতা?’ সহিংসতায় চিকিৎসাধীন আহতদের সুচিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আশ্বাসে মানবিক চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে- যা প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামার ঘটনাকে দেশবাসী স্বাভাবিক চোখেই দেখেছে। সরকারের মনোভাবও ছিল ইতিবাচক। কিন্তু অশুভ মহল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ১৯৭১ ও ২০১৩, ২০১৪ স্টাইলে যে আগুনসন্ত্রাসে নামে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সহিংসতার উসকানিদাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া হয়ে যারা জ্বালাও-পোড়াও এবং হত্যাকাণ্ডে হাত পাকিয়েছে তাদের সবার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথাও বাড়াবাড়ির আশ্রয় নিয়ে থাকলে সে ঘটনাকেও আমলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো হেরফেরই কাম্য নয়।

 

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর