মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানি

অযুত সম্ভাবনা জাপানে

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জাপানে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকদের কাজের সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। জাপানিরা ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। স্বাধীনতার পর যেসব দেশ বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দেয় জাপান তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের পুনর্গঠনে বন্ধুপ্রতিম দেশটি এগিয়ে এসেছে সব সময়। জাপান ছিল স্বাধীনতার পর এককভাবে সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা দেশ। দেশের প্রথম মেগা প্রকল্প যমুনা সেতুও নির্মিত হয়েছে জাপানি সহায়তায়। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে রয়েছে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকের কাজের অপার সুযোগ। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগ, যোগাযোগ এবং ভাষাগত সমস্যাসহ নানা কারণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না সেই সম্ভাবনা। বিদ্যমান সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলেই ১২টি সেক্টরে প্রতি বছর জাপানে পাঠানো সম্ভব হবে হাজার হাজার দক্ষ শ্রমিক। এতে বৃদ্ধি পাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়। জাপানে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় আলাদা। সে দেশে কর্মরত বিদেশি কর্মজীবীদের জাপানি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। বাংলাদেশিরা জাপানে আসার আগে জাপানি ভাষা না শেখায় সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে। ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করলেই প্রতি বছর কয়েক হাজার শ্রমিক কাজের সুযোগ পাবে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে জন্মহার কম হওয়ায় সে দেশে রয়েছে কর্মক্ষম মানুষের অভাব। জাপান প্রতি বছর ১২টি সেক্টরে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেয়। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের মধ্যস্থতাকারী এজেন্সিগুলোর অদক্ষতা, নিয়োগকারী জাপানি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব, তদারকির অভাবের কারণে নষ্ট হচ্ছে অপার সম্ভাবনা। তাই অভিবাসী শ্রমিক নেওয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশিরা পিছিয়ে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং ও নির্দিষ্ট দক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সৃষ্টি হয় বিপুলসংখ্যক দক্ষ কর্মীর জাপানে পাঠানোর সুযোগ। সে সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর