বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফিরছে স্বাভাবিকতা

শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নিন

রাজনৈতিক সহিংসতার ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরছে দেশ। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হওয়ায় কারফিউ শিথিলের সময় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক খোলা রাখা হচ্ছে আগের সময় সূচিতে। ট্রেন চলাচলও আজ শুরু হওয়ার কথা। দেশের যোগাযোগব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম সড়ক যোগাযোগে স্বাভাবিকতা এসেছে বেশ আগে। দেশজুড়ে কারফিউ থাকলেও সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে না। নাশকতাকারীদের সামাল দিতে সেনাবাহিনী নামানোর ফলে পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফেসবুক, ইউটিউব খুলে দেওয়া হয়েছে। সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জাতিসংঘের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন। সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে বলছে সহিংসতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে, বিরোধিতাকারী এবং পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যায় সহযোগিতাকারী একটি দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন দায়ী। সরকারের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে। ছাত্রদের কোটা সংস্কারের দাবির বিষয়ে সরকার কখনো দ্বিমত পোষণ করেনি। হাই কোর্ট কোটা পুনর্বহালের পক্ষে রায় দিলে সরকার সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগে হাই কোর্টের রায় স্থগিত করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল না। আদালতে বিষয়টির মীমাংসার আগে সরকারের কিছু করার সুযোগও ছিল না। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু পাশ কাটিয়ে নেপথ্যের অপশক্তি শিক্ষার্থীদের উসকে দেয়। যা বিপুল প্রাণহানি ও জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অফিস আদালত ব্যাংক এবং যোগাযোগব্যবস্থায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসা নিঃসন্দেহে এক স্বস্তিদায়ক ঘটনা। এ স্বস্তি বাড়াতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলে তাদের আস্থা অর্জনে সরকার সক্রিয় হবে এমনটিই আমরা দেখতে চাই। বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দোষীদের শাস্তিবিধানও সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর