শিরোনাম
শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছন্দে ফিরুক জনজীবন

স্বাভাবিকতা ধরে রাখাই কর্তব্য

স্বাভাবিকতার ছন্দে ফিরছে জনজীবন। গত দুই সপ্তাহ দেশের ওপর দিয়ে নাশকতার বিধ্বংসী তাণ্ডব বয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর আর আগুন-সন্ত্রাসের চূড়ান্ত অরাজকতায় দুই শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ভবন-স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়াও সামষ্টিক অর্থনীতির যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে সময় লাগবে। আরও নানা হুমকি রয়েছে সরকার এবং জাতীয় অর্থনীতির সামনে। তার পরও আপাত স্বস্তির বার্তা এটুকুই যে, সমাজে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু হচ্ছে। নৈমিত্তিক সময়সূচিতে চলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানা। মানুষের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনা টহল অব্যাহত থাকলেও বিভিন্ন বিধিনিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছে। কদিন বন্ধ থাকার পর ট্রেনের চাকা ঘুরেছে। বিভিন্ন অলিগলিতে সাতসকালে দল বেঁধে গার্মেন্টকর্মীদের ব্যস্ত চলাচল চোখে পড়ছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবন-স্থাপনা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। সার্বিকভাবে গতিশীলতায় ফিরছে রাজধানী। আতঙ্কের দম বন্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে স্বস্তির বাতাসে দরকারি কেনাকাটায় রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। চিরচেনা যানজট দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সড়কে। পক্ষকালের তাণ্ডবে দেশব্যাপী যে দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে- সেখান থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনের স্রোতে ফিরে আসা আশাব্যঞ্জক। দৈনন্দিন আয়নির্ভর শ্রমজীবী মানুষের জন্য এর থেকে সুখবর আর কিছু নয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের ওপর দিয়ে কষ্টের ঝড় বয়ে গেছে। এখন পর্যায়ক্রমে সব কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলো স্থবিরতা কাটিয়ে পূর্ণোদ্যমে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠুক। অর্থনীতির চাকা ঘুরুক দ্বিগুণ গতিতে। এসব কিছুর জন্য অত্যাবশ্যকীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি রক্ষাই সময়ের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। আর কোনো অসিলায়, কোনো অসতর্কতায় জনজীবনে ফিরতে শুরু করা স্বাভাবিকতার ছন্দে পতন ঘটুক, তা কাম্য নয়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর