সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

আলোচনার প্রস্তাব

সংকট নিরসনের প্রকৃষ্ট পথ

প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং বলেছেন তাদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা। আন্দোলনকারীরা চাইলে যে কোনো সময় আসতে পারেন। দরকার হলে তাদের অভিভাবকদের নিয়েও আসতে পারেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব বিদ্যমান সংকট উত্তরণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যদিও আন্দোলনকারীরা সরকার বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবকে নাকচ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে। তারপরও আমরা মনে করি, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে যে গভীর সংকট দানা বেঁধে উঠেছে তাতে সংকট নিরসনে আলোচনায় বসা ছাড়া কোনো ইতিবাচক বিকল্প নেই। দেশের স্থিতিশীলতা, সাংবিধানিক শাসন এবং ১৮ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীল মনোভাব দেখাতে হবে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে সরকার আলোচনায় রাজি হয়েছে এটি তাদের আন্দোলনের একটি নৈতিক জয়। এ জয়কে হাতছাড়া করা সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না। তবে সরকার পক্ষকেও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নিতে হবে। ইতোমধ্যে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে সংকট শুরু তাদের অপসারণ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকার সংশ্লিষ্টরাও এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। হতাহতদের ক্ষতিপূরণে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোও জোরদার করা দরকার। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সরকারের যেহেতু দ্বিমত নেই, সেহেতু সময়ক্ষেপণ করে তৃতীয় পক্ষকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ দেওয়া যৌক্তিক নয়। এ ব্যাপারে সরকার যে বিলম্ব করেছে তা অবশ্যই সমালোচনাযোগ্য। তবে আলোচনা বা সংলাপের পথ বন্ধ হওয়া উচিত নয়। ভাবতে হবে বাংলাদেশ কোনো দল বা ব্যক্তি নয়, ১৮ কোটি মানুষের। আমজনতার স্বার্থেই সংঘাত এড়ানোর পথ খুঁজতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের এই জাতির স্বার্থে সব পক্ষকে নমনীয় হতে হবে।

সর্বশেষ খবর