সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিস্ফোরণোন্মুখ মধ্যপ্রাচ্য

সংঘাত নয়, স্থায়ী শান্তি কাম্য

মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজায় দীর্ঘস্থায়ী ইসরায়েলি বর্বর হামলা, নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহতের পর পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে উঠেছে। এসবের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। ইসরায়েলি ভূখন্ডে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ, হামাস এবং হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর হুমকি - যে কোনো পরিস্থিতি সামলে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত তেল আবিবও। ইসরায়েলকে রক্ষায় অতিরিক্ত রণতরি ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের ভাষায়, তারা আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রশমনের পদক্ষেপ জারি রেখেছে। সার্বিক পরিস্থিতি এমন যে, মধ্যপ্রাচ্যে এত দিনের ছাই চাপা আগুন যেন বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের ডঙ্কা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বেজে উঠলে গোটা বিশ্বেই তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আঁচ লাগবে সবার গায়েই। এরই মধ্যে ইসরায়েলে রকেট হামলার অভিযোগ উঠেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তেহরানকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়া সংঘাতের মুখোমুখি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ভয় করছেন অনেকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্যি এবং ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে - সংঘাত কখনো কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। অগণিত মানুষের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু এবং ধ্বংসই তার অনিবার্য ফলাফল। অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ও পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর বিরোধ আরও ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটাতে পারে; যার দুর্ভাগ্যজনক তিক্ত অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর রয়েছে। ধ্বংস ও মৃত্যুর দক্ষযজ্ঞ থেকে বিরত থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। বিশ্ব সংস্থাকে শান্তির বার্তা ও সক্ষমতা নিয়ে যুদ্ধংদেহি পক্ষগুলোর মাঝে দুই হাত তুলে দাঁড়াতে হবে। একাট্টা হতে হবে গোটা মুসলিম বিশ্বকে। সব পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দীর্ঘদিন ধরে অশান্তির আগুনে পোড়া মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি কামনা করেন বিবেকবান বিশ্বমানব।

সর্বশেষ খবর