শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

রবীন্দ্রনাথ এবং এক পাঠান নেতা

সুমন পালিত

রবীন্দ্রনাথ এবং এক পাঠান নেতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল এক পাঠান নেতার। পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়েও কম বয়সি সেই পাঠান নেতার সঙ্গে কবিগুরুর সম্পর্ক ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধার। পাঠান নেতার নাম খান আবদুল গাফফার খান। ‘সীমান্ত গান্ধী’ বলে যাকে অভিহিত করা হয়। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের যে প্রদেশটির নাম এখন খাইবার পাখতুনখোয়া। খান আবদুল গাফফার খান ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির অনুসারী। আমৃত্যু তিনি ছিলেন গান্ধীবাদী। উত্তর- পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পাখতুনদের অহিংস নীতিতে দীক্ষা দেন তিনি। তাদের অহিংসবাদের পথে আনা আর বাঘকে মাংসের বদলে ঘাস খেতে উদ্বুদ্ধ করা সমান কথা। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তাঁর ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ বইয়ে লিখেছেন, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের দুর্ধর্ষ ও কলহপ্রিয় মানুষকে যেভাবে আবদুল গাফফার খান শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় করেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর।

সাহিত্যে নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ। তাঁর আগে এশিয়া মহাদেশের কেউ এ সম্মানজনক পুরস্কার পাননি। ফলে রবীন্দ্রনাথের নাম ভারতবর্ষের সব প্রান্তের মানুষের কাছে সেই ব্রিটিশ আমলেও ছিল সুপরিচিত। খান আবদুল গাফফার খানও জানতেন কবিগুরুর কথা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি নন, মানুষ হিসেবেও যে মহান তা তিনি জানতে পারেন মহাত্মা গান্ধীর কাছে। আর তাতেই উন্মুখ হয়ে ওঠেন কবিগুরু ও তাঁর গড়া শান্তিনিকেতন দেখার জন্য।

মহাত্মা গান্ধী খান আবদুল গাফফার খানকে বলেছিলেন, কবিগুরু বীরভূম জেলার বোলপুরের কাছে গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পেশোয়ার থেকে তাই বড় ছেলে আবদুল গনিকে শান্তিনিকেতনে পাঠান লেখাপড়া শিখতে। ছেলের মাধ্যমে তিনি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে নানা তথ্য পান। ১৯৩৪ সালে হাজারিবাগ জেল থেকে ছাড়া পেয়েই কবিগুরুর সঙ্গে দেখা করতে ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন আরেক প্রান্তে।

খান আবদুল গাফফার খান পেশোয়ার থেকে প্রথমে যান বিহারের রাজধানী পাটনা। উদ্দেশ্য গান্ধীবাদী নেতা রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে দেখা করা। পাটনায় পৌঁছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে টেলিগ্রাম করেন সীমান্ত গান্ধী। কবিগুরুর সঙ্গে শান্তিনিকেতনে গিয়ে দেখা করার অনুমতি চান। আগ্রহ দেখান বিশ্বভারতী সম্পর্কে। যেখানে পড়াশোনা করেছেন তাঁর বড় ছেলে আবদুল গনি খান। সীমান্ত গান্ধীর টেলিগ্রাম পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সম্মতি দেন কবিগুরু।

১৯৩৪ সালের ৩ আগস্ট। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর রেলস্টেশন। সাতসকালে খান আবদুল গাফফার খানকে সংবর্ধনা জানাতে স্বয়ং উপস্থিত কবিগুরু। নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৪৪ বছরের এক পাঠান নেতাকে সংবর্ধনা জানাতে রেলস্টেশনে উপস্থিত থাকবেন, তা ছিল সীমান্ত গান্ধীর কাছেও অকল্পনীয়। বোলপুর রেলস্টেশনে বর্ধমান থেকে আসা একটি ট্রেন এসে থামতেই সচকিত হয়ে ওঠেন কবিগুরু। ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণির কামরা থেকে নামেন এক পাঠান যুবক। দেখামাত্র রবীন্দ্রনাথ এগিয়ে যান আগন্তুকের দিকে। পাঠান যুবক অবনত হওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন বুকে। তারপর কুশল বিনিময় করেন তাঁরা। সেখান থেকে কবিগুরু অতিথিকে নিয়ে আসেন বিশ্বভারতীর পাঠাগার প্রাঙ্গণে। সমবেত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে সম্মানিত অতিথিকে পরিচিত করাতে তিনি যে ভাষণ দেন তা অবিস্মরণীয়। নোবেল লরিয়েট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘খানসাহেবের শান্তিনিকেতন সফর আশ্রমবাসীর জীবনে স্মরণীয় ঘটনা। তিনি যখন কারাগারে গেছেন, পুত্রকে পাঠিয়েছেন এখানে লেখাপড়া শেখার জন্য। এতেই প্রমাণ মেলে বিশ্বভারতীর প্রতি তাঁর কতখানি আস্থা ও মমত্ববোধ আছে। তাঁর অনুভূতি আমাদের স্পর্শ করেছে।’

খান আবদুল গাফফার খানের শান্তিনিকেতন সফর ছিল সংক্ষিপ্ত। মাত্র এক দিনের। সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি সবটুকু সময় শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতীকে হৃদয়ে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। প্রতিটি বিভাগ ঘুরেছেন। কথা বলেছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে। পরদিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর সকালে শান্তিনিকেতন ত্যাগের আগে উদয়ন প্রাঙ্গণে কবিগুরু সীমান্ত গান্ধীর সম্মানে সাদামাটা অথচ প্রাণবন্ত সংবর্ধনার আয়োজন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই সংবর্ধনায় উর্দুতে ভাষণ দেন সম্মানিত অতিথির সম্মানে। সে ভাষণে কবিগুরু বলেন, ‘অল্পক্ষণের জন্য আপনি আমাদের মধ্যে এসেছেন; কিন্তু সেই সৌভাগ্যকে আমি অল্প বলে মনে করিনে।... অল্পক্ষণের জন্য আপনাকে পেয়েছি কিন্তু এ ঘটনাকে ক্ষণের মাপ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। এখানে আপনার ক্ষণিক উপস্থিতি আশ্রমের হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে রইল।’

সংবর্ধনার জবাবে খান আবদুল গাফফার খান বলেন, গুরুদেবের কাছে যে সংবর্ধনা পেয়েছেন তাতে তিনি অভিভূত। বিশ্বভারতী সম্পর্কে যা শুনেছেন নিজের চোখে দেখে মনে হচ্ছে কবিগুরু তাঁর চেয়েও মহৎ কিছু সম্পন্ন করেছেন। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে কবিগুরু যে আদর্শ অনুসরণ করেছেন তা অনুসৃত হলে ভারতবর্ষ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। দুঃখ করে বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যায় সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে, ভারতের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার পূর্ণতায় বাধা সৃষ্টি করছে। খান আবদুল গাফফার খান শান্তিনিকেতন থেকে চলে যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীকে লেখেন, ‘এক অকপট সরলতার মানুষ’। খান আবদুল গাফফার খান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিবিম্ব। ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হবে তা তিনি চাননি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ততদিনে ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপমহাদেশে। পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম ১৭ বছরের ১৫ বছরই খান আবদুল গাফফার খানকে কাটাতে হয় জেলে অথবা নজরবন্দি অবস্থায়। তাঁর বিরুদ্ধে নিরন্তর অপপ্রচার চালানো হয় পাকিস্তানজুড়ে। বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টাও চলে। ১৯৬৪ সালে সীমান্ত গান্ধী স্বেচ্ছানির্বাসন বেছে নেন আফগানিস্তানের জালালাবাদে। ন্যাপ নেতা মোজাফফর আহমদের কাছে শোনা। খান আবদুল গাফফার খান আফগানিস্তানে স্বেচ্ছানির্বাচনে যাওয়ার আগে পুত্র ওয়ালী খানের কাছে অসিয়ত করে যান তাঁর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে যেন কবর দেওয়া না হয়। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খান দেশভাগের ২২ বছর পর ১৯৬৯ সালে ভারতে আসেন মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ৩৫ বছর পর খান আবদুল গাফফার খান যখন দ্বিতীয়বার শান্তিনিকেতনে যান, তার ২৮ বছর আগেই কবিগুরু পরলোক গমন করেছেন। তবে দুই সফরের মধ্যে ছিল বেশ মিল।

গান্ধী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ সীমান্ত গান্ধীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। দিল্লিতে নেহরুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা হয় খান আবদুল গাফফার খানে॥ বন্ধুকন্যাকে বলেন, তাঁকে যেন শান্তিনিকেতন যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধী নিজেও ছিলেন শান্তিনিকেতনের ছাত্রী। তবু প্রশ্ন করেন, শান্তিনিকেতন কেন? সীমান্ত গান্ধী মৃদু হেসে উত্তর দেন, ১৯৩৪ সালে প্রথম যখন শান্তিনিকেতনে যান, তখন গুরুদেবের যে স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন তা ভুলতে পারেননি।

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৯। ৩৫ বছর আগের মতোই রেলের একটি তৃতীয় শ্রেণির কোচ বোলপুর স্টেশনে আসে মধ্যরাতে সীমান্ত গান্ধীকে নিয়ে। রেল কোচটি স্টেশনের এক পাশে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে বাকি রাত কাটান সীমান্ত গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গের সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি পর দিন ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় তাঁকে রেলের কোচ থেকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে।

বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খানকে। সংবর্ধনার উত্তরে তিনি অকপটে বলেন, ৩৫ বছর আগে তিনি যখন প্রথম শান্তিনিকেতন আসেন তখন যে ভালোবাসা পেয়েছেন গুরুদেবের কাছ থেকে তা অন্তরে আজও বিরাজমান।

সীমান্ত গান্ধী বিশ্বভারতীর হোস্টেল, কলাভবনসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি এবং উপাচার্য কালিদাস ভট্টাচার্য তাঁকে নিয়ে আসেন বিচিত্রায়। সেখানে আবেগোক্রান্ত হন খান আবদুল গাফফার। কাঠ খোদাই একটি ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়ান তিনি। তাঁর চোখে অশ্রুর ঢল নামে। ভাস্কর্যটি তাঁর বড় ছেলে আবদুল গনি খানের গড়া। যিনি ছিলেন শিল্পাচার্য নন্দলালের শিষ্য।

পাদটীকা : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোক গমন করেন ১২৬৮ সনের ২২ শ্রাবণ, ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সাল। এর ৩০ বছর পর সংঘটিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। দৈহিকভাবে বেঁচে না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধে কবিগুরুর উপস্থিতি ছিল বিস্ময়করভাবে। কবিগুরুর গান ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রতিদিনই উচ্চারিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে। কবিগুরুর ভাবশিষ্য সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খানও বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইতিহাসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাঙালিরা পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। অথচ এখন কি না তাদের দোষারোপ করা হচ্ছে এই বলে যে তারা পাকিস্তান ভেঙে দিতে চায়। আওয়ামী লীগের ছয় দফা কর্মসূচি নাকি পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য বিপজ্জনক। ছয় দফা যদি পাকিস্তানের সংহতির জন্য বিপজ্জনক হয়, তাহলে সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ কেন গোড়াতেই এর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেনি? ছয় দফার ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকা যান এবং শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন তিনি শেখ সাহেবকে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেন। ছয় দফা যদি পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হয় তাহলে এসব কথার অর্থ কী? আসল কথা হলো, শেখ মুজিব নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং তারই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা। পাকিস্তানি জনগণের কাছে আমি এ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ সব সময়ই ধর্মের নামে আমাদের সঙ্গে হঠকারিতা করেছে। তারা এখন ইসলামের কথা বলছে, অথচ আজ পূর্ব বাংলায় যা ঘটছে তা কি ইসলাম ও পাকিস্তানের কল্যাণের জন্য করা হচ্ছে?’

উপসংহার : খান আবদুল গাফফার খান অসিয়ত করে গিয়েছিলেন তাঁকে যেন পাকিস্তানের মাটিতে কবর দেওয়া না হয়। পাখতুন নেতার শেষ ইচ্ছাপূরণে পেশোয়ারে তাঁর মৃত্যুর পর লাশ দাফন করা হয় আফগানিস্তানের জালালাবাদে। বাদশাহ খানের লাশ নিয়ে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ খাইবার গিরিপথ দিয়ে জালালাবাদে যায়। সে সময় কাবুলের সোভিয়েত সমর্থিত নাজিবুল্লাহ সরকারের সঙ্গে আফগান মুজাহিদদের তীব্র যুদ্ধ চলছিল। পাখতুন নেতার সম্মানে তাঁর দাফন উপলক্ষে দুই পক্ষ সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। আফগানিস্তানে সে সময় কোনো বিষয়ে সরকার ও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তা ছিল একেবারেই অকল্পনীয়। কিন্তু খান আবদুল গাফফার খান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পাঠান বা আফগানদের মধ্যে এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে, সাময়িক হলেও আফগানরা সীমান্ত গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে এক হতে পেরেছিল। খান আবদুল গাফফার খানের জানাজায় অংশ নেয় লাখো মানুষ।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

ইমেইল: [email protected]

সর্বশেষ খবর