বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক হানাহানি

সংঘাত নয়, চাই আইনি প্রতিকার

জনগণের বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের মাধ্যমে ছাত্র জনতার যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তা নস্যাৎ করতে সমাজবিরোধীরা সহিংসতায় মেতে উঠেছে দেশজুড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন কোথাও যেন কেউ সহিংসতায় জড়িত না হয়। রাষ্ট্র এবং জনগণের সম্পদ ভাঙচুর বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সেনাপ্রধানও সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছেন, দেশে এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্ন চলছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে। সব হত্যা ও প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে। সবারই জানা পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছিল। জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কর্তৃত্ববাদীদের ভ্রুকুটির সামনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হয়ে পড়েছিল রুদ্ধ। ব্যবসায়ীদের বাধ্য করা হয়েছে কর্তৃত্ববাদের হুকুম তামিলে। কর্তৃত্ববাদের পতন শুধু কোটাবিরোধী বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নয় ১৮ কোটি মানুষের মহান জাতির বিজয় নিশ্চিত করেছে। জনগণের স্বাধীনতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা মূল্যহীন। শত শত ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে কথা বলার যে স্বাধীনতা সাধারণ মানুষ ফিরে পেয়েছে তাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। হানাহানি নয় সম্প্রীতির আবহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অগ্নিসংযোগ নয় বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের প্রতিহিংসার ইতি ঘটাতে হবে। এক মাস ধরে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে। লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা পড়েছে গভীর সংকটে। এ অবস্থার অবসানে কলকারখানা, অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্র স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সব অন্যায়ের আইনি প্রতিকারে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোও জরুরি। যে কোনো বিজয় অর্জন যত সোজা তা ধরে রাখা ততটাই কঠিন। এ ব্যাপারে ১৮ কোটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। দিতে হবে সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার পরিচয়।

সর্বশেষ খবর