মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে আলটিমেটাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন শুধু ছাত্ররা। ছাত্রদের একাংশই এ দাবিতে রাজপথে নামেন। আবু সাঈদের হত্যাকান্ডে  ছাত্রসমাজের রক্তে আগুন লাগে। তবে এ আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে পরিণত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি। এ মূল্যবৃদ্ধি সমাজের লুটেরা অংশের জন্য কোনো বোঝা হয়ে না দাঁড়ালেও সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। দিশাহারা মানুষ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার সুযোগ খুঁজছিল। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নামে সর্বস্তরের মানুষ। দেশের ইতিহাসে কোনো গণ আন্দোলনে এত মানুষের অংশগ্রহণ আর কখনো ঘটেনি। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাই দেশবাসীর প্রত্যাশার কথা মনে রেখে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য আমজনতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৩ দপ্তর ও সংস্থাকে আলটিমেটাম দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এসব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। রবিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতা টিম করে প্রতিটি শহর, জেলা, উপজেলা, পাড়া-মহল্লায় বাজার মনিটরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা কাউকে জরিমানা করতে পারবে না। আইন নিজের হাতে তোলাও যাবে না। প্রত্যেক বিক্রেতার নিত্যপণ্য ক্রয়ের রসিদ রাখা এবং প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। কেউ বাজার, রাস্তা, দোকান দখল করে ব্যবসা করলে তাকে উৎখাত এবং চাঁদাবাজি বন্ধ ও প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। তারপরও সিংহভাগ পণ্যের দাম এখনো সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিছু পণ্যের দাম আবার আগের চেয়ে বেড়েছে। আমরা আশা করব বাজারের ওপর ছাত্রসমাজ ও প্রশাসনের খবরদারি মুনাফাখোরদের নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে রাখবে অবদান।

সর্বশেষ খবর