মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যবসা-বাণিজ্য

বন্ধ হোক চাঁদাবাজি, নিশ্চিত হোক নিরাপত্তা

দেশের অর্থনীতিতে দুরবস্থা চলছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠে নামে সংসদবহির্ভূত সব বিরোধী দল। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঝড় ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গনে। মনে হচ্ছিল দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। এই মনে হওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য ভিন্ন দিকে থেকে বিপদ ডেকে আনে। লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করেছে যারা, তারা বিদেশে অর্থ পাচারের ধারা জোরেশোরে শুরু করে। পরিণতিতে যে ডলারের দাম ছিল ৮৫-৮৬ টাকা তার দাম ১২০ টাকায় দাঁড়ায়। এর প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে ডলার সংকট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ দিনের লড়াইয়ে কর্তৃত্ববাদের পতন ঘটেছে ৫ আগস্ট। এ আন্দোলন সংগ্রামে ধকল সহ্য করতে হয়েছে ব্যবসা খাতকে। ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে পেশাদার অপরাধীরা। তাদের লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যায়। বেকারত্বের অভিশাপ যে দেশের ঐতিহ্যের অংশ, তা আরও সংক্রমিত হয়। স্বভাবতই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাণসঞ্চার, বিশেষ করে কলকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ দাবি নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি রবিবার সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করা, সাপ্লাই চেইন সচল রাখা, বন্দর ও মহাসড়ক সচল রাখা, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, শিল্পকারখানার নিরাপত্তা জোরদারসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা এবং তার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে ব্যবসায়ীসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। আমাদের বিশ্বাস, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের টেকসই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

সর্বশেষ খবর