বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

সংবাদমাধ্যমে হামলা

ওদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনুন

দেশের সবচেয়ে বড় মিডিয়া হাউস ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার বেলা আড়াইটার পর আকস্মিকভাবে শতাধিক মানুষের একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ টোয়েন্টিফোর, টি স্পোর্টস, কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের সামনে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র। তাদের মধ্যে কিছু লোকের কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তারা নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করে ত্রাস ছড়ায়। অনুমান করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা হাজির হয়েছিল মিডিয়া হাউসের সন্নিকটে। তারপর হঠাৎ মিছিল নিয়ে মিডিয়া চত্বরে প্রবেশ করে ভাঙচুরের তান্ডবে মেতে ওঠে। হইচই শুনে মিডিয়া কর্মীরা নিচে নামার আগেই তারা পালিয়ে যায়। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলার ঘটনার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিপ্লবের পরই একটা প্রতিবিপ্লব হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা নস্যাতে কিছু লোক তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্যাবোটাজ চালাচ্ছে। তারা শিক্ষার্থীদের নাম বারবার ব্যবহার করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় এমন সন্ত্রাস চালিয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের নাম করে যে ভাঙচুর করেছে সেটা ন্যক্কারজনক। এ ধরনের কাজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনোই অনুমোদন করে না। হামলাকারীদের কাউকে দেখে বাস্তবে শিক্ষার্থী বা রাজনৈতিক কর্মী বলে মনে হয়নি। ছাত্রদের নামে স্লোগান দিলেও হামলাকারীরা পতিত কর্তৃত্ববাদী শাসকদের দোসর কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তাদের কর্মকান্ডে। আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে ছাত্র সমাজের সংহতিকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করতে চাই। হামলার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষের নিন্দাবাদও আমাদের কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে। আমরা চাই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউসে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হোক। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার স্বার্থে প্রতিবিপ্লবী পঞ্চম বাহিনীকে রুখতে সারা জাতির ঐক্য গড়ে উঠুক।

সর্বশেষ খবর