দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন নির্বিঘ্ন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। অর্থনীতির অগ্রসরমান ধারা গতিশীল রাখতে এর বিকল্প নেই। জুলাই বিপ্লবের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যেসব শক্ত চ্যালেঞ্জ রয়েছে- অর্থনীতির পুনর্গঠন তার অন্যতম। মাসব্যাপী আগুনঝরা দিনগুলো পেরিয়ে এসে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিল্প-কারখানায় নিরাপত্তা সহায়তা দেবে সেনাবাহিনী। শিল্পে নিরাপত্তা জোরদার এবং ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধে ব্যবসায়ীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান এ আশ্বাস দিয়েছেন। ঋণজর্জর দেশে ব্যাংকিং খাত অনিয়ম-দুর্নীতি-বিশৃঙ্খলায় দেউলিয়াপ্রায়। এমন রূঢ় বাস্তবতায়, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য অর্জনে শিল্প-প্রতিষ্ঠান, সরবরাহ ব্যবস্থা, বন্দর এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ রক্ষাও জরুরি। উৎপাদন ধারা অব্যাহত না থাকলে আয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে না। তেমন হলে সংকট সৃষ্টি হতে পারে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে; যা হবে সবার জন্যই পীড়াদায়ক। এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সম্মুখীন যেন না হতে হয়- এটাই শ্রমিক-মালিক উভয়পক্ষের পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিষয়। কর্মপরিবেশ রক্ষা করতে হবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। শিল্পের চাকা গতিশীলভাবে ঘুরতে হবে। মুহূর্তের জন্যও যেন তা থমকে না যায়, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আঘাত না লাগে- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা সহায়তার আশ্বাস ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আশ্বস্ত করেছে। সেনাবাহিনীর শিল্পাঞ্চল নিরাপত্তা সেলও গঠন করা হয়েছে। এর সুফল লাভে গতিশীল উৎপাদন, বাধাহীন সরবরাহ ও সুষ্ঠু রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতি মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে আশা করা যায়।