সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্যার্তদের পুনর্বাসন

চাই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস

বন্যায় অবর্ণনীয় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতিও ব্যাপক। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে ব্যাপকভাবে। সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলা শুধু নয়, পানি নেমে গেলে ব্যাপক পুনর্বাসনের প্রয়োজনের কথা এখন থেকেই ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। শনিবার যমুনায় বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বন্যার্তদের সহায়তায় তরুণদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের মানুষকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে এনজিও প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়, কয়েকটি বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। প্রথমত, কীভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করা যায়; দ্বিতীয়ত, যারা যারা কাজ করছেন, তাদের সবার মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করা যায় এবং তৃতীয়ত, কীভাবে অর্থের ব্যবস্থা করা যায়। কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। প্রধান উপদেষ্টা দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। আমাদের বিশ্বাস, এনজিও সেক্টর, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করলে সুফল আসবে। বন্যার পানি ইতোমধ্যে নামতে শুরু করেছে। পানি নামার পরই মূল কার্যক্রম। ঘরবাড়ি পুনঃস্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। এনজিওগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এসব কাজ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে অতি দ্রুত। বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর বিপুলসংখ্যক মানুষ বিদেশে থাকেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল থাকায় তারা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে ৪৪টি এনজিওর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। আশা করা যায় দ্রুত পুনর্বাসন কাজ সম্পন্ন করাকে সরকারের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর