মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাকিস্তান বধ

টেস্টে টাইগারদের অবিস্মরণীয় জয়

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাও পাকিস্তানের মাটিতে রাওয়ালপিন্ডিতে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম জয় এসেছে রবিবার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জন্মদিনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা দিয়েছেন এক অনন্য উপহার। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন একটি জয়ের জন্য ১৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। অপেক্ষা করেছে ২০০১ সাল থেকে। ২৩ বছর পর মুশফিকুর রহিম, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজের আত্মপ্রত্যয়ী ব্যাটিং এবং শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান ও মিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ৩০ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে। স্বপ্নের এক জয়ের পর উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। সম্ভবত তাদের ধারণা ছিল এই রানের পাহাড়ে চাপা পড়বে বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানকে হতাশা করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস শেষ করে ১১৭ রানের লিড নিয়ে। পাকিস্তানের পক্ষে তখন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় যেভাবেই হোক ড্র করে হার থেকে বাঁচার। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ৫৫.৫ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ছিল মাত্র ৩০ রান। সময় প্রায় দেড় সেশন। টাইগাররা কোনো উইকেট না হারিয়ে সে টার্গেট পূরণ করে। ছিনিয়ে নেয় ১০ উইকেটের বিরাট জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে যে ১২টি ম্যাচ হেরেছিল, ২০০৩ সালে মুলতান টেস্ট ছাড়া কোনো টেস্টেই লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনজামামুল হকের অতিমানবীয় সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি ড্র করেছিল তামিম ইকবালের ২০৬ ও ইমরুল কায়েসের ১৫০ রানে ভর করে। কিন্তু রবিবার বাংলাদেশ জিতেছে ১০ উইকেটে। পাকিস্তানের কাছে টেস্টে লাগাতার পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে হেসে-খেলে। এ জয় বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াক আমরা তা দেখতে চাই। টাইগারদের অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর