রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ মতবিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শুধুমাত্র তাদেরই আজ ডাকা হবে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে শুরু হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সংস্কারের প্রস্তাব এলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ওইদিনই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা। সংস্কার ও নির্বাচন দুই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপকভাবে সংলাপের অনুরোধ জানান তারা। এ বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ মতবিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে। দেশের ছাত্রসমাজ আন্দোলনে নেমেছিল চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের অবসান ঘটানোর দাবিতে। রাষ্ট্রযন্ত্র সে যৌক্তিক দাবি মানার বদলে বেছে নেয় নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের পথ। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বস্তরের মানুষ সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নেয়। রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েও ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকার। এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় নব্য ফ্যাসিস্টদের হাতে। আহতের সংখ্যাও বিশাল। ফলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হিসেবে যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে রাষ্ট্র সংস্কার তাদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্যে পরিণত হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাকাপোক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তনও তাদের এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের আবির্ভাব না হয় তা নিশ্চিত করতেই সংস্কার চালাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের আয়োজনও করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। আমাদের বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ সে কঠিন দায়িত্ব পালনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ১৮ কোটি মানুষের সমর্থন আরও নিশ্চিত করবে।