মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার

সীমান্তে কড়া নজর রাখুন

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আগামীকাল থেকে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে যৌথ বাহিনী। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীদের একটি তালিকাও তৈরি করেছে সরকারের একটি সংস্থা। তালিকায় রয়েছে অন্তত ৫ হাজার নাম। তালিকা তৈরিতে কোনো দলীয় বিবেচনা কাজ করেনি। অপরাধীদের পরিচয় যাই হোক আইনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নির্যাতন, হয়রানি, দখল বাণিজ্য, অনিয়ম এবং সিন্ডিকেট করে রাষ্ট্রীয় অর্থ তছরুপ যারা করেছেন তালিকায় তারাও রয়েছেন। সমাজকে অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাং এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় আনতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং দখল বাণিজ্যে সক্রিয় হওয়া ব্যক্তিদেরও এ তালিকায় রাখা হয়েছে। এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৭টি কারাগার। শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে নরসিংদী এবং শেরপুর কারাগারে হামলার ঘটনায় বেশ কিছুদিন ওই দুটি কারাগারের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে ইতোমধ্যে নরসিংদী কারাগার চালু হয়েছে। তবে শেরপুর কারাগারের বন্দিদের ক্যাটাগরি অনুসারে ময়মনসিংহ এবং জামালপুরে রাখছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার বন্দিদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম অনুসরণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে দুর্ধর্ষ এবং ভয়ংকর বন্দিদের ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র অভিযান সফল হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ইতিবাচক উন্নতি হবে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর দুর্বৃত্তদের একটি অংশ সারা দেশে যে দখল বাণিজ্য শুরু করেছে তার লাগাম টানা সম্ভব হবে। যেসব দুবর্ৃৃত্ত ১৫ বছর ধরে সাধারণ মানুষের ওপর যথেচ্ছতা চালিয়েছে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ মিলবে। তবে অবৈধ অস্ত্র অভিযান সফল করতে হলে দুর্বৃত্তরা যাতে পালাতে না পারে তা নিশ্চিত করাও জরুরি। সীমান্তে প্রহরা বসানোর পাশাপাশি ছাত্রসহ সৎ নাগরিকদের নিয়ে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ কমিটি গঠনের সম্ভাব্যতা ভাবা যেতে পারে। যারা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত বা মিয়ানমারে অপরাধীদের পলায়ন রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ খবর