শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ওষুধ শিল্পে অশান্তি

নিরসনের পদক্ষেপ নিন দ্রুত

হঠাৎ শ্রমিক অসন্তোষে উত্তাল ওষুধ কারখানাগুলো। আন্দোলন-ভাঙচুরে বেশ কটি কারখানা বন্ধ থাকায় দেশে ওষুধ সংকটের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। মালিকদের ভাষ্য, ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাস এবং বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে যখন ওষুধ কোম্পানিগুলো টিকে থাকতেই হিমশিম; এ অবস্থায় শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মালিকপক্ষের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। তাদের মতে, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে আমরা বাধ্য। কিন্তু সব দাবি এখনই মেনে নিতে হলে অবধারিত লোকসানে পড়বে ওষুধ শিল্প। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন কর্মসংস্থানের সংকটে পড়বেন অসংখ্য শ্রমিক। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। ওষুধ শিল্পের অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট উত্তরণে শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে লাগসই কর্মপন্থা খুঁজে বের করতে হবে। বলা হচ্ছে, দেশের ওষুধ শিল্প ধ্বংসে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রকৃতই এ শিল্প নিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী কলকাঠি নাড়ছে কি না বিশ্লেষণ করা জরুরি। ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ দেশেই তৈরি হয়। কারখানাগুলোর সক্ষমতা এবং এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি দেশে ওষুধের বাজার সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্ববাজারেও বাংলাদেশের ওষুধ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০০ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল তৈরি হচ্ছে। এমন একটা গতিশীল উৎপাদন খাতে বিশৃঙ্খলা, অচলাবস্থা, স্থবিরতা হবে আত্মঘাতী। মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষের যৌক্তিক ছাড় ও সমঝোতায় দ্রুত উদ্ভূত অচলাবস্থার অবসান হোক- এটাই কাম্য। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওষুধ শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে আশা করি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর