শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

এখন চলছে দাবি-দাওয়ার যুগ

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

এখন চলছে দাবি-দাওয়ার যুগ

মানব সভ্যতার বিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন যুগের মধ্য দিয়ে। এক সময় পৃথিবীতে ছিল বরফ যুগ। তারপর প্রস্তর যুগ, লৌহ যুগ, তাম্র যুগ এবং সর্বশেষ বিজ্ঞানের যুগ পেরিয়ে এগিয়ে গেছে পৃথিবীর ইতিহাস। তবে বাংলাদেশের চিত্রটা মনে হয় ভিন্ন। এ দেশে কিছুদিন ধরে চলেছিল বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর যুগ। আর এখন চলছে দাবি-দাওয়ার যুগ। ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বেতন, ভাতা ও পেনশন সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য ‘ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট’ তথা প্রতিরক্ষা হিসাব শাখা নামের একটি কার্যালয় আছে। সাধারণত ‘এফসি-আর্মি’ নামে অধিক পরিচিত এবং শতভাগ বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত এই কার্যালয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যাবতীয় সরকারি লেনদেনের হিসাব সম্পন্ন হয়। পেনশন সংক্রান্ত ছোট্ট একটা কাজের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, অফিসটিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সব টেবিল-চেয়ার ফাঁকা থাকায় কাজ হয়নি। বহিরাগত একজনের কাছ থেকে জানা গেল কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য দল বেঁধে সবাই তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অফিস ঘেরাও করতে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে গেছেন। বেশ কয়েকজন প্রবীণ সাবেক সেনা সদস্য এসেছিলেন দূর-দূরান্ত থেকে। সবাই ব্যর্থ মনে ফিরে গেলেন।

শুক্র-শনি দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির পর আবারও ১৫ তারিখ, রবিবার গেলাম সেই অফিসে। একই চিত্র। পুরো অফিস ফাঁকা। খুঁজে পেতে একজন নারী কর্মকর্তাকে পেলাম। জানলাম এই অফিসের একদল সদস্য দাবি আদায়ের জন্য আজও গেছেন তাদের প্রধান কার্যালয়ে। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের বিভাগেরই অন্য একদল ওই দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা কিছুতেই তাদের অফিসের আন্দোলনকারীদের দাবি বাস্তবায়ন হতে দেবেন না। বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় উভয় পক্ষ। নিজেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন উভয় পক্ষ! কী করবেন সরকার? কার দাবি মানবেন?

এর আগে সচিবালয় ঢুকে একদল শিক্ষার্থী স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার বাকি পরীক্ষাগুলো না দেওয়ার দাবি আদায় করে নেয়। তাদের যুক্তি অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলন চলাকালে আহত হয়েছে এবং অনেকে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। অনেকেরই আতঙ্ক বা ট্রমা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। সুতরাং তারা পরীক্ষা দিতে অপারগ। আর তারা পরীক্ষা দিতে না পারলে বাকি শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেবে না। কিন্তু বাস্তবে এমন দাবিদারদের সংখ্যা বা শতকরা হার কত- তা জানার সময়টুকু দিতে রাজি হলো না সচিবালয়ে ঢুকে পড়া ও দাবি আদায়ে অনড় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাই বলা যায় দাবি মেনে নিতে সরকার একরকম বাধ্যই হয়েছিল সে সময়। অচিরেই হয়তো ফলাফল প্রকাশিত হবে এইচএসসি পরীক্ষার এবং ধারণা করা যায় প্রায় শতভাগ কৃতকার্য হবে। এক্ষেত্রে এই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মোতাবেক এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নম্বরের অনুপাতে হয়তো তাদের অনুষ্ঠিত না হওয়া পরীক্ষাগুলোতে নম্বরও দেওয়া হবে। এখানেই কী শেষ? অনেকেরই বিভিন্ন কারণে হয়তো এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, পরিবারে শোকাবহ ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল বা বিষয়ভিত্তিক ভালো নম্বর না পাওয়া কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। স্বাভাবিকভাবেই তারা প্রত্যাশা করেছিলেন এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে সেই দুর্বলতাটুকু কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু বাস্তবে এখন আর তেমনটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছে না। তারা দাবি তুলতে পারেনি বলে তাদের কথাটাও কেউ আমলে নেয়নি।

তার চেয়ে বড় বিষয় হলো চাকরি লাভ বা দেশ-বিদেশে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য তথা উচ্চশিক্ষার জন্য জমাকৃত পরীক্ষার মার্কশিটে বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর তাদের যোগ্যতা বা বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের ভিত্তি কোনো মাপকাঠিতে বিচার হবে? এসএসসির? ২০২৪ সালের এইচএসসি সমতুল্য ইংরেজি মাধ্যমের এ লেভেল শিক্ষার্থীদের মার্কশিটে সব বিষয়ের নম্বর লেখা থাকবে এবং তারা পরীক্ষা দিয়েই এই নম্বর পেয়েছে বলে যুক্তিসঙ্গতভাবেই দাবি করবে। এভাবে বৈষম্য দূরের সার্থক সেনারা নিজেরাই বৈষম্যের শিকার হয়ে যাবে, এমনটা আশঙ্কা করা কী অযৌক্তিক?

ইউটিউবের কল্যাণে আমরা সবাই দেখতে পেয়েছি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক সভায় দাবির বন্যা ও বক্তৃতায় অতিষ্ঠ সেই মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা। তাদের কেউ কেউ এমন অভিযোগও করেছেন যে সিনিয়র হয়েও তাদের বেতন-ভাতা জুনিয়রদের সমান বা কম! মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বহু সরকারি দপ্তরে দুই-তিন ধাপ পদোন্নতির পরই অবসরে যাওয়ার বয়স হয়ে যায়। ওপরের আরও চার-পাঁচ ধাপ আরোহণের স্বপ্ন কখনো পূরণ হয় না। তদুপরি প্রশাসনিক ক্যাডার থেকে অন্যান্য ক্যাডারে এসে উঁচু চেয়ার বা উচ্চ পদ দখলের বিরুদ্ধেও ফুঁসে উঠেছে অনেক ক্যাডারের সরকারি কর্মচারীরা। এত দিন তারা নীরবে এসব বৈষম্য মেনে নিলেও এখন এক দিনও যেন অপেক্ষা করতে রাজি নয় কেউ। তাদের কথা একটাই- এখনই মানতে হবে সব দাবি।

অঙ্গীভূত আনসাররা দাবি আদায়ে আন্দোলনের নামে সচিবালয়ের গেট দখল ও তাণ্ডব করেছে। পায়ে চালিত রিকশা ও যান্ত্রিক রিকশাচালকরা শাহবাগ দখলে রেখেছিল স্বাধীনভাবে শহরময় নিজ নিজ মডেলের রিকশা চালানোর দাবি নিয়ে। রাজধানীর মহাখালী উত্তাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি সংবলিত স্লোগানে স্লোগানে। ১৬ বছরে বঞ্চিত ও অন্যায়ভাবে চাকরি হারানো সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য এবং বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বয়স যাই হোক, শরীর মানুক আর না মানুক, দাবি একটাই- চাহিদা মাত্র আগের সব পদোন্নতি ও বকেয়াসহ সব পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব- সেই প্রশ্নের সমাধান দিতে এগিয়ে আসছে না কেউ। সবারই ধারণা সরকার চাইলেই সব কিছু পারে। সব দাবি পূরণ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আসলেই কি তাই?

জুলাই বিপ্লবের নেপথ্যে অন্যতম উপসর্গ ছিল সাধারণভাবে ও সর্বক্ষেত্রে পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, চিহ্নিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তার হাতে সমগ্র জাতির বন্দিদশা এবং ঢালাও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় বহু পুলিশ সদস্যের দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পত্তির খতিয়ান। এমন অনাচারের কড়া মাশুল গুনতে হয়েছে খোদ পুলিশকেই। বর্তমানে পুলিশের বহু সদস্যই পলাতক। যারা যোগ দিয়েছেন, তারা শতভাগ দায়িত্ব পালনে কতটা আন্তরিক এ প্রশ্ন সামনে এনেছে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু প্রেক্ষাপট। অতি সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের যানজট নিরসনে করণীয় খুঁজে বের করার জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।

খবরটি গাড়িতে বসে পড়ার সময় হঠাৎ ব্রেক করায় চমকে উঠি। সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরও আমাদের ড্রাইভার সাহেব তা না মেনে স্বল্প দূরত্বে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেছেন বলে হঠাৎ এই ব্রেক। ড্রাইভার সাহেবের যুক্তি গ্যাপ পেলেই পাশের গাড়ি ঢুকে যায় (তার ভাষায় কান্নি মারে)। সামনে তাকাতেই দেখি রং উঠে যাওয়া হতশ্রী একটি যাত্রীবাহী বাস হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করানো হয়েছে। পেছনে নম্বর প্লেটের কোনো কিছুই বোঝার উপায় নেই, ব্রেক লাইট নেই, ইন্ডিকেটর লাইট নেই- এমনকি লাইট বসানোর বাক্স বা লাইট লাগানোর ব্যবস্থাও খুলে ফেলায় সেখানটা ফাঁকা।

পাশে তাকিয়ে দেখি সম্ভবত একই পরিবারের তিনজন সদস্য ফুটপাতে দাঁড়িয়েই ভাড়া নিয়ে দর-কষাকষি করলেন। তারপর সবচেয়ে বামের লেনের গাড়ির বহর হাত উঁচিয়ে থামিয়ে বীরদর্পে মাঝ লেইনে হঠাৎ দাঁড়ানো বাসে চড়লেন। একটু গভীরে গেলেই দেখা যাবে এমন হতশ্রী বাসের অধিকাংশের মালিক তারাই, যাদের এসব বাস রাস্তায় চলাচলে বাধা দেওয়ার কথা। আবার প্রশাসনে নেই এমন মালিকরা লাইনম্যান আর আইনের মানুষকে অবৈধভাবে টাকা দিবে, কিন্তু বাসের রং, ব্রেক লাইট, নম্বর প্লেট- এসবের জন্য টাকা খরচ করতে নারাজ। তাদের যুক্তি হলো সবকিছু ঠিক থাকলেও তো টাকা দিতে হয়, তাহলে রং আর লাইটের পিছনে কেন টাকা খরচ করব। বাসে বসা যাত্রীরা অসহায়, কারণ কথা বললেই সব পরিবহন শ্রমিক একাট্টা হয়ে বিপদ ঘটাতে পারে। রাস্তার পাশের যাত্রী জানে এ শহরে বাস স্টপেজ বা বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা করার সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। ফুটপাতের যে কোনো স্থানে দাঁড়ালেই হলো, বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের শিকারি চোখ তাকে ঠিকই খুঁজে বের করবে এবং দরদাম করে বাসে তুলবে। ড্রাইভার জানে যাত্রীদের কাছ থেকে কমবেশি যে টাকাই আসুক না কেন, বাসের মালিককে তার দৈনিক কিস্তির এক টাকাও কম দেওয়ার উপায় নেই। সুতরাং রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়েও যদি বেশি যাত্রী ও বেশি টাকা পাওয়া যায়, তবে মন্দ কী? এমন মালিক, চালক, বাসযাত্রী, পথচারী- কার মনের সংস্কার কীভাবে করলে এই অরাজকতা থামবে কেউ জানে না। সবাই শুধু একটা স্লোগানই জানে- আমাদের দাবি মানতে হবে।

নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির অধীনে সুনির্দিষ্ট রুট ধরে যাত্রী ছাউনিভিত্তিক বাস থামা ও চলার বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা ও চলার সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখার কঠোর আইন করে ঢাকা শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বহু প্রচেষ্টা অতীতে হয়েছে। কিন্তু বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির কারণে তা কার্যকর না হওয়ায় পুরনো হতশ্রী বাস আবারও রাস্তায় নেমেছে এবং যথারীতি রাজত্ব করছে। অধিক পুরনো ও বিপজ্জনক বাস সরকার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বাস মালিকদের অনিচ্ছা, আপত্তি ও লবিংয়ের কারণে তাও সম্ভব হয়নি। কারণ রুটভিত্তিক বাস চলাচল কিংবা বাস কিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে একশ্রেণির বাস মালিক তাদের পরিচয় এবং বাস ক্রয়ের টাকার উৎস প্রকাশ করতে চান না। তাই তাদের দাবির মুখে এ ধরনের কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। অথচ রুটভিত্তিক একই কোম্পানির অধীনে নির্দিষ্ট রঙের বাস চলাচল, সব বাসের আয় মাস শেষে ভাগের ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা মালিকদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা তথা রুট রেশনালাইজেশন না করে রাস্তায় বাসে বাসে টক্কর, বিপজ্জনক প্রতিযোগিতা, মাঝ রাস্তায় যাত্রী ওঠানামা- এমন অরাজকতা থামানো সম্ভব হবে না। বাস মালিক, পরিবহন শ্রমিক, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্য, সংশ্লিষ্ট সরকারি মহল ও সাধারণ যাত্রী - এক কথায় সর্বস্তরের অংশীজনের মনের ও চরিত্রের ব্যাপক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। অথচ আমরা ঘুষ দেব না এবং ঘুষ নেব না- এমন দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে না।

আমাদের দেশের বাস্তবতায় ম্যাজিস্ট্রিসি পাওয়ারসহ সেনাবাহিনীর মাঠে অবস্থানের এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা কার্যকর করার এখনই সময়। তা না হলে আবারও দাবি আর আন্দোলনের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে ট্রাফিক শৃঙ্খলা।

দাবি-দাওয়ার এমন বন্যার মাঝে একটি দাবি প্রায় অনুপস্থিত, যা অনেককেই হতবাক করেছে। জুলাই বিপ্লবে চোখ, পা ও অন্যান্য অঙ্গ হারিয়ে হাসপাতাল বা নিজ গৃহে চিকিৎসাধীন আছে শত শত মানুষ। তাদের নিজেদের কর্মী, সহকর্মী বা সংগঠনের সদস্য হিসেবে কেউ দাবি করছেন না! এই দাবি তুললেই যে ঘাড়ে দায়িত্ব এসে যায়, এটাই কি ভয়? এখন পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন বলে জানা গেছে, অত্র প্রায় অর্ধেকই একটি রাজনৈতিক দলের বলে দলটির সর্বোচ্চ নেতা দাবি করেছেন। আহত কেউই কি তাদের নেতা-কর্মী নয়? শহীদ হলেই দলের সদস্য, আহত হলে নয়, এ কেমন দাবির যুগে আছি আমরা?

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

ইমেইল : [email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর