মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু আগ্রাসন

মশা নিধনের উদ্যোগ নিন

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৩১ জন। দেশের হাসপাতালগুলোতে এ মুহূর্তে ৯২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গু মশাজনিত রোগ। মশা নিধনের সুব্যবস্থা থাকলে মশাবাহিত যে কোনো রোগ সামাল দেওয়া সম্ভব। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও মশা ঢাকার নগরজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মন্ত্রী ও সুসাহিত্যিক হাবীবুল্লাহ বাহারকে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছিল মশার উৎপাত এবং সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার বাণে। তিনি অবশ্য মশা নিধনে সাফল্য দেখিয়ে প্রমাণ রেখেছিলেন সদিচ্ছা থাকলে সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য। বাংলাদেশের সোয়া পাঁচ দশকের ইতিহাসে বারবার ঢাকার নির্বাচনি রাজনীতিতে মশার উৎপাত প্রভাব রেখেছে। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের চমক লাগানো জয়ের পেছনে মশা সমস্যা সমাধানে পূর্ববর্তী মনোনীত মেয়রের ব্যর্থতা অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মশার মূককীট নিধনে রাজধানীর বিভিন্ন ডোবা ও ড্রেনে বিদেশ থেকে আমদানি করা গাপ্পি মাছ ছেড়ে চমক সৃষ্টি করেন। মশার উৎপাত রোধে তিনি যে শতভাগ সফল হননি তা পরবর্তীতে অপকটে স্বীকারও করেন। নগরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীকে দুই সিটি করপোরেশনে বিভক্ত করার পরও মশার উৎপাত বন্ধে দুই তরফের সাফল্যই প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগ রয়েছে- মশা নিধনের বরাদ্দকৃত অর্থের বড় অংশই চলে যায় লুটেরাদের পকেটে। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তার মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রেহাই দিতে মশা নিধন কার্যক্রমের সর্বস্তরে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর